১ অক্টোবর, ২০১৬ ২২:৫১

ভারত-পাকিস্তান বিরোধ মীমাংসায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব বান কি মুনের

অনলাইন ডেস্ক

ভারত-পাকিস্তান বিরোধ মীমাংসায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব বান কি মুনের

পরমাণু শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে উঠেছে। চির বৈরী এই দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন, যুদ্ধ বিমান প্রস্তুত রাখা, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পাল্টাপাল্টি হুমকির ঘটনায় কার্যত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের দামামা বাজছে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক এই প্রবল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ওই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মীমাংসায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

কাশ্মীরের বিরোধপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখার পাকিস্তানি অংশের ভিতর ঢুকে ভারতীয় সৈন্যরা বেশ কয়েকটি হামলা চালানোর দু’দিন পর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার উভয় পাশে আরো কিছু বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও ভোর রাতে গোলাগুলির কারণে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।

ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মীর রাজ্যে এক শীর্ষ বেসামরিক কর্মকর্তা পবন কোতওয়াল এএফপিকে বলেন, ‘আখনুর সেক্টরে সীমান্তের ওপার থেকে ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণ এবং মর্টার নিক্ষেপ করা হয়েছে। যা প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।’

পাকিস্তানি এক সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির সেনাবাহিনী কাশ্মীরের পাকিস্তানি অংশের ভিমবার সেক্টরে ‘ভারতীয় বাহিনী বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণের সমুচিত জবাব’ দিয়েছে।

পাকিস্তানের একজন দূত মালিহি লোধি এ পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ব্যক্তিগতভাবে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৈঠকের পরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, বান ‘উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন এবং উদ্ভূত উত্তেজনা প্রশমনে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের’ আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, পাকিস্তান ও ভারতে কূটনীতি ও সংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিক বিরোধী নিরসন করা উচিত।
তিনি উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেন, ‘উভয় পক্ষ মেনে নিলে তাঁর সদয় সহযোগিতা পাওয়া যাবে।’

এএফপি’র সঙ্গে আলাপকালে লোধি বলেন, ‘আমরা যদি সংকট এড়াতে চাই তাহলে তাঁর (বান) পক্ষ থেকে জোড়ালো হস্তক্ষেপের সময় এসেছে। কারণ, আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি সংকট জোরালো হচ্ছে।’

ভারতীয় মিশন থেকে এএফপিকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের হামলা ছিল একটি ‘পরিমিত সন্ত্রাসবিরোধী’ জবাব এবং তাদের ‘পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর কোনো অভিপ্রায়’ নেই।

সূত্র : এএফপি

বিডি প্রতিদিন/ ০১ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর