কালো টাকা জনসম্মুখে আনতে সময় বেঁধে দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এরইমধ্যে ৬৫,০০০ কোটি টাকা অর্থনীতির মূলস্রোতে এসেছে। সেই সঙ্গে কর ও জরিমানাও কোষাগারে এসেছে। ভর্তুকির অর্থ সরাসরি প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ায় ৩৬,০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট এক লাখ কোটি টাকা প্রকাশ্যে এসেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ক'টা দিন সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। তাতেই এই অবস্থা। কল্পনা করুন, সরকার যদি এই ক্ষেত্রেও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পথ অবলম্বন করতো, তবে কী হতো!
ভারতে বর্তমানে সর্বাধিক আলোচিত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ প্রসঙ্গটি। উরি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালায়। অনেকের ধারণা, কালো টাকা উদ্ধারে 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'র প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদি কালো টাকার মালিকদের সতর্ক করতে চেয়েছেন। প্রশাসনের লাগাতার প্রচারেই কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে দ্রুত হারে। তবে প্রয়োজনে যে আরও কঠোর হতেও পারে প্রশাসন, সে ইঙ্গিতই হয়তো দিতে চেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বিডি প্রতিদিন/২৩ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা