২৯ অক্টোবর, ২০১৬ ০৩:৩৩

টাকা-নারীই হাতিয়ার পাক গুপ্তচরদের

অনলাইন ডেস্ক

টাকা-নারীই হাতিয়ার পাক গুপ্তচরদের

ভারতে চরবৃত্তি চালাতে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ‘ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স’ (আইএসআই)-এর চররা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সেনাদের হাত করে নিচ্ছে! নানা ভাবে বিএসএফ সদস্যদের প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্তের নজরদারি ব্যবস্থার খুঁটিনাটি ও প্রতিরক্ষা-প্রকৌশলের তথ্য জেনে নিচ্ছে। ওই অভিযোগে ভারতে পাক হাইকমিশনের ভিসা সেকশনের এক কর্মচারী মেহমুদ আখতারকে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ আটক করে। ‘কূটনৈতিক সুরক্ষা’ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ভারতে আইএসআইয়ের চরবৃত্তির ‘কিংপিন’ আখতার ছিলেন পাক সেনাবাহিনীর বালুচ রেজিমেন্টে। ডেপুটেশনে আখতার আইএসআইয়ের ‘চর’ হন ২০১৩ সালে। ভারতে পাক হাইকমিশনের আরও কয়েক জন কর্মচারী ওই চর-চক্রে জড়িত থাকতে পারেন। সন্দেহভাজনদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই চর-চক্রে বিএসএফের কিছু সেনা জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ, সীমান্তে সেনা-মোতায়েন সম্পর্কে যে সব তথ্য মেহমুদ আখতার ও তার সঙ্গী-সাথীদের হাতে এসেছিল, বিএসএফ সেনাদের সহযোগিতা ছাড়া তার নাগাল পাওয়া সম্ভব ছিল না পাক গুপ্তচরদের।

দিল্লি পুলিশের এক কর্তার কথায়, কোনও একজন সেনা সদস্য সাহস করে পাক গুপ্তচরদের হাতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য তুলে দিয়েছেন, এটা ভাবলেও ভুল করা হবে। হয়তো ওই তথ্য পাচারে জড়িত রয়েছে বিএসএফের আরও কয়েক সদস্য।

দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, আখতার ও তার সহযোগিরা ভারতে ওই চর-চক্র চালানোর জন্য বিএসএফ সেনা তো বটেই, অনেক সাধারণ নাগরিককেও ‘নিয়োগ’ করেছিল। আর তার জন্য অকাতরে বিলিয়েছিল টাকা। নারীর প্রলোভনেও কমতি ছিল না। ওই কাজে বিএসএফের কয়েক জন অফিসারও জড়িত রয়েছেন। তাঁদের ভূমিকা কতটা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর