১৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ২১:২৪

পাকিস্তানকে ফের সন্ত্রাসের পথ পরিহারের আহ্বান মোদির

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

পাকিস্তানকে ফের সন্ত্রাসের পথ পরিহারের আহ্বান মোদির

পাকিস্তানকে ফের সন্ত্রাসের পথ পরিহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার দিল্লিতে দ্বিতীয় তম ‘রাইসিনা ডায়লগ’-এর উদ্বোধন করে মোদি বলেন, ’ভারতের সঙ্গে সংলাপ চাইলে পাকিস্তানের উচিত সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করা’। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে বিদ্ধ করে মোদি বলেন, ’আমি লাহোর সফরে গিয়েছিলাম, কিন্তু ভারত একা শান্তির পথে চলতে পারে না। পাকিস্তানকেও এই পথের সামিল হতে হবে’।

এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ভারতের পররাষ্ট্র নীতির রূপরেখা তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদি। প্রতিবেশী চিন সম্পর্কে কৌশলী পদক্ষেপ নিয়ে মোদি বলেন, ‘দুইটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদেরকে সংবেদনশীলতা দেখানো উচিত। মোদি বলেন, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনে ভারত কখনোই নিজের দায়িত্ব থেকে দূরে থাকেনি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাসই হল ধর্ম থেকে সন্ত্রাসকে পৃথক করা। ভাল সন্ত্রাসী ও খারাপ সন্ত্রাসীর তত্ত্বও খারিজ করে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে প্রতিবেশীরা সহিংসতাকে প্রশয় দেয়, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে রফতানি করে তাদেরকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং উপেক্ষিত করতে হবে।

২০১৬’এর জানুয়ারিতে পাঠানকোটে ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা ও উরিতে পাক মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হামলায় ১৯ সেনা জওয়ানের নিহত হওয়ার পরই ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে। পাশাপাশি যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।

এদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আপগানিস্তান, নেপাল এবং মালদ্বীপসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে নিজের রূপরেখাও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আমার যে লক্ষ্য তা থেকেই পাকিস্তানসহ সমস্ত সার্কভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের বিজেপি সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল’।

মোদি আরও জানান, ‘আমরা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখি। তবে শুধু মাত্র নিজেদের স্বার্থ দেখাটাই আমাদের সংস্কৃতি ও আচরণ নয়। একটি বর্ধনশীল সুসংহত প্রতিবেশীও আমাদের স্বপ্ন। আমরা আমাদের সব প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেই অংশীদার হয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টার ফল সেখানে দেখার মতো। অনেক বিপত্তি সত্ত্বেও আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠান স্থাপনে আমাদের অংশীদারত্ব সহায়তা করছে। বাংলাদেশের সঙ্গেও আমাদের রাজনৈতিক বোঝাপড়া সৃদৃঢ় হয়েছে এবং স্থল ও সমুদ্র সীমানার সমাধান হয়েছে।

তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়াসহ ৬৫ টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর