ভারতের মণিপুর রাজ্যের ইম্ফলের রিজিওন্যাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন কে বেইছুয়া। ২০১৩ সালে মিজোরাম ন্যাশনাল ফ্রন্টে যোগ দেয়ার আগ পর্যন্ত জেনারেল প্র্যাক্টিশনার হিসেবে ২০ বছর ডাক্তারি করেছেন ৫২ বছর বয়সী এই বিধায়ক। প্রায় চার বছর পর রাজনীতির ফাঁকে নিজের শেখাটা কাজে লাগিয়ে জীবন বাঁচালেন তিনি।
৩৫ বছর বয়সী এক নারী পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে মিজোরামের সাইহা জেলা হাসপাতালের ভর্তি হয়েছেন। তার জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের একমাত্র সার্জন প্রশিক্ষণ নিতে তখন মণিপুর রাজ্যের ইম্ফলে। এই অবস্থায় নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ফেলে রেখে, জরুরিভিত্তিতে মরণাপন্ন ওই রোগীর অস্ত্রোপচার নিজেই করে ফেলেন ভারতের লোকসভারও ওই সদস্য।
মিজোরামের এই জনপ্রতিনিধি জানান, কোনও কারণে ওই নারীর পাকস্থলিতে বড় ধরনের ছিদ্র তৈরি হয়েছিল। জরুরি অস্ত্রোপচার না-করলে, তিনি মারা যেতেন। এই অবস্থায় তাই হাসপাতালের একমাত্র সার্জনের জন্য অপেক্ষা করা ঝুঁকির হয়ে যেত।বুধবার অস্ত্রোপচার করার পরদিন ফের হাসপাতালে গিয়ে রোগিণীকে দেখেও এসেছেন। ডা: কে বেইছুয়া জানান, সেই নারী এখন ভালোই আছেন।
ডাক্তারি জীবনে গত দু-দশকে একশোটিরও বেশি অস্ত্রোপচার কে বেইছুয়া করেছেন। ২০১৩ সালে শেষ বার অস্ত্রোপচার করেছিলেন। এরপর রাজনীতিতে জড়িয়ে ডাক্তারি জীবন থেকে অবসরে ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা