২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৯:৫৪

'মুসলমানদের কবর দেওয়ার মতো দেশে জমি নেই: বিজিপি সাংসদ

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

'মুসলমানদের কবর দেওয়ার মতো দেশে জমি নেই: বিজিপি সাংসদ

ফের বিতর্কে বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। জমির সঙ্কটের প্রসঙ্গে তুলে উন্নাওয়ের এই বিজেপি সাংসদ বললেন, হিন্দুদের মৃত্যুর পর জমির প্রয়োজন হয় না, অথচ মুসলিম সম্প্রদায়ের চাহিদা বেড়েই চলেছে। কবরস্থান যাতে আর নতুন করে নির্মাণ না হয় তার জন্য আইন আনা উচিত। কারণ কবর দেওয়ার জন্য দেশে আর জমিই নেই।

মঙ্গলবার উন্নাওয়ে এক জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘শ্মশান হোক বা কবরস্থান-মরদেহ সৎকার করে ফেলা উচিত, এটা কখনোই কবর দেওয়া উচিত নয়। দেশে ২ থেকে আড়াই কোটি সাধু রয়েছে। তাদের মৃত্যুর পর সকলেরই সমাধিস্থল করা উচিত ছিল। কিন্তু তা করতে গেলে জমির দরকার। অন্যদিকে মুসলিমের সংখ্যা ২০ কোটি। সবাই চাইছেন কবর দিতে। একবার ভেবে দেখুন হিন্দুস্থানে কবর দেওয়ার মতো এত জমি কোথায়? কবরস্থান নির্মাণ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে আইন আনারও দাবি তুলেছেন এই সাংসদ।

সাক্ষীর এই মন্তব্যের পরই তার সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। রাষ্ট্রীয় জনতা দল প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব জানান, সাক্ষী মহারাজ একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তাঁর চরিত্রও ভাল নয়। তিনি পথভ্রষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তার তদন্ত হওয়া উচিত’।

সিপিআই সাংসদ ডি. রাজা বলেন, সাক্ষী মহারাজের বক্তব্য অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক, প্ররোচনামূলক ও মুসলিম বিরোধী। নির্বাচন কমিশনের উচিত এখুনি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া।

চলতি মাসের গোড়াতেই উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে এক নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কবরস্থান ও শশ্মান প্রসঙ্গটি তুলে বলেছিলেন এই দুই কাজে জমি বণ্টনের জন্য কোনরকম ভেদাভেদ চলবে না। আপনি যদি গ্রামে কবরস্থান নির্মাণ করতে চান তবে শশ্মানও নির্মাণ করতে হবে। যদি রমজানের সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয় তবে দিপাবলীর সময়ও তা দিতে হবে। এখানে কোন ভেদাভেদ চলবে না’। মোদির ওই বক্তব্যের পর এবার এই ইস্যুটি খুঁচিয়ে তুললেন সাক্ষী।
কলকাতা

বিডি-প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর