পশ্চিম ফ্রান্সে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ। এমন সময় হঠাৎ গুলির শব্দ। লুটিয়ে পড়লেন দু'জন। তবে গুরুত্বর কিছু হয়নি, সামান্য আহত হয়েছেন। লাগেনি প্রেসিডেন্টের গায়ে। নিরপত্তারক্ষীরা সতর্ক অবস্থান নিলেন। কোন আততায়ী নয় তো? না, প্রেসিডেন্টেরই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মীর রাইফেল থেকে ভুলবশত গুলি বের হয়ে গেছে।
প্যারিস ও বোর্দোর মধ্যে স্থাপিত উচ্চগতির একটি রেলওয়ে লাইন উদ্বোধনের জন্য ওলাদ পশ্চিম ফ্রান্সের ভিলোগনন শহরে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি প্যান্ডেল ঘেরা ককটেল পার্টিতে ওলাদ ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি ভাষণ শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই গুলির শব্দ হয়। - জানিয়েছে বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।
যেই প্যান্ডেলের ভিতরে ওলাদ ভাষণ দিচ্ছিলেন সেখান থেকে ১০০ মিটার উপরে একটি ছাদে পুলিশের ওই লক্ষ্যভেদী অবস্থান নিয়েছিলেন। অবস্থান পরিবর্তন করার সময় হোঁচট খেলে তার রাইফেল থেকে গুলি বের হয়ে যায়। গুলি প্যান্ডেলের শামিয়ানার ভিতর দিয়ে ঢুকে যেখানে পানীয় প্রস্তুত করা হচ্ছিল সেখানে গিয়ে দু'জনকে আহত করে। গুলি এক ওয়েটারের ঊরু ভেদ করে রেলওয়ের এক কর্মীর পায়ের পাতায় গিয়ে লাগে।গুলির শব্দ শুনে প্রেসিডেন্ট ওলাদ থেমে যান। বাম দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তিনি বলেন, “গুরুতর কিছু হয়নি বলে আশা করছি।” ফের সেই বাম দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে তারপর বলেন, “মনে হয় না তেমন কিছু।”
এ সময় ভাষণ থামিয়ে কারো আঘাত লেগেছে কিনা জিজ্ঞেস করেন তিনি। পরে ভাষণ শেষে আহতদের দেখতে যান।
স্থানীয় এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই লক্ষ্যভেদীর অস্ত্রটির সেফটি ক্যাচ খোলা ছিল, তাই ঝাঁকি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলি বের হয়ে যায়। ভাগ্য ভালো বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিলোগননের স্থানীয় সরকার প্রধান পিয়েরে এন’গাহানি। ওই লক্ষ্যভেদী পুলিশের স্পেশাল প্রটেকশন ইউনিটের সদস্য বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ