১ মার্চ, ২০১৭ ১৩:৫৩

ভারত-ব্রিটেন মঞ্চে গান্ধীর দেওয়া বার্তা

অনলাইন ডেস্ক

ভারত-ব্রিটেন মঞ্চে গান্ধীর দেওয়া বার্তা

সংগৃহীত ছবি

শ্বেতশুভ্র রাজপ্রাসাদে আলোর সাজ। গোলাপি, সবুজ, নীল রঙে বিভিন্ন নাচের ভঙ্গি। আর মাঝখানে ময়ূর। আলোয় ছড়িয়ে রয়েছেন ভারতীয় বাদ্যকার এবং ভরতনাট্যম, কুচিপুড়ি, কত্থক নর্তকীরা। প্রোজেক্টরের আলোয় এভাবেই দৃশ্যনন্দন হয়ে উঠেছে বাকিংহাম প্যালেস। প্রবেশমুখে এই সম্ভার সাজিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে ভারতীয় অতিথিদের। পিকচার গ্যালারিতে অতিথি সমাগমে তখন শ্যাম্পেন আর ককটেলের ফোয়ারা।

ভারত-ব্রিটেন সংস্কৃতি-বর্ষে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং ডিউক অব এডিনবরার আমন্ত্রণে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি-সহ প্রতিনিধিদল পৌঁছে গিয়েছে ব্রিটেন। বেগুনি আর রুপোলি রঙের পোশাকে অতিথিদের মুখোমুখি হয়েছেন ৯০ ছোঁয়া রানি। ক্রিকেট তারকা কপিল দেব, অভিনেতা কমল হাসন, সেতার শিল্পী অনুষ্কা শঙ্কর, বেহালাবাদক এল সুব্রহ্মণ্যম, ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়— প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন ডিউক অব এডিনবরা। 

রাজকুমার উইলিয়ামের সঙ্গে গোলাপি লেস দেওয়া হালকা ক্রিম রঙের গাউনে হাজির ডাচেস অব কেম্ব্রিজ ক্যথরিনও।
রাজপ্রাসাদের বিভিন্ন কক্ষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ব্রিটেন আর ভারতের দু’শো বছরের ইতিহাস। নীল ড্রয়িংরুমে ভারতের স্বাধীনতা লাভ নিয়ে একটি বিশেষ প্রদর্শনী। সেখানে রয়েছে ১৯৪৭ সালে তদানীন্তন রাজকুমারি এলিজাবেথের বিয়েতে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর দেওয়া খাদির শাল, জওহরলাল নেহরুর লেখা চিঠি। 

শালটির মাঝখানে রয়েছে জয় হিন্দ। সঙ্গে লর্ড মাউন্ডব্যাটেনের উদ্দেশে গাঁধীর হাতে লেখা একটি বার্তা। তাতে লেখা, ‘‘চরকায় আমার হাতে কাটা সুতায় বোনা হয়েছে এই ছোট্ট জিনিসটি। আমার আশীর্বাদ-সহ বর-কনেকে এই উপহার দেবেন। মানুষের সেবায় ওঁদের দীর্ঘ, সুখী জীবন কামনা করি। শুভেচ্ছান্তে এম কে।’’ অন্যান্য জিনিসের মধ্যে রয়েছে ১৯৬১ সালের জানুয়ারি মাসে রানির ভারত সফরের ছবিও।

মিউজিক রুমে সাজানো ১৮৭৫-৭৬ সালে প্রিন্স অব ওয়েলস-এর (পরে রাজা ষষ্ঠ এডওয়ার্ড) ভারত সফরে পাওয়া বিভিন্ন উপহার। রত্নখচিত একটি চামর এবং সোনার বোতলে ভরা সুগন্ধী। ছবি দিয়ে সাজানো অন্য ঘরে রয়েছে ভারতীয় ছবি আর পাণ্ডুলিপির সম্ভার।

এ সবের পাশাপাশি মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলবে নানা কনসার্ট, প্রদর্শনী, বই উৎসব, ছবি দেখানো। এই অনুষ্ঠানে থাকবে স্ত্রীর জন্য তাঁর নামেই তৈরি পণ্ডিত রবিশঙ্করের শেষ সৃষ্টি ‘সুকন্যা’। পণ্ডিত রবিশঙ্করের মৃত্যুর পরে যে কাজ শেষ করেন তাঁর কন্যা অনুষ্কাশঙ্কর।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


বিডি প্রতিদিন/০১ মার্চ ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর