২৯ মার্চ, ২০১৭ ১৩:৫৯

ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু, ত্রিমুখী চাপে ব্রিটেন

অনলাইন ডেস্ক

ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু, ত্রিমুখী চাপে ব্রিটেন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া (ব্রেক্সিট) শুরু হয়ে গেছে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের উদ্দেশ্যে বুধবার চিঠি লিখেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ হবে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ। তবে দুই পক্ষ সম্মত হলে এই সময়সীমা প্রয়োজনে আরও বাড়তে পারে।

ব্রেক্সিট শুরু হলেও ব্রিটেনবাসীর মন থেকে শঙ্কার মেঘ এখনো কেটে যায়নি। প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এখন ত্রিমুখী সঙ্কটের মুখে। এক দিকে দেশের মানুষের চিন্তা দূর করে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া মসৃণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ। অন্য দিকে স্কটল্যান্ডের ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি। বেঁকে বসেছে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডও। তারাও চাইছে, ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে গিয়ে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের অংশ হিসেবে ইইউ-এ যোগ দিতে।

এছাড়াও রয়েছে অর্থনৈতিক চাপ। ইইউ-এর অভিন্ন বাজার থেকে বেরিয়ে গেলে শিল্প ক্ষেত্র ও ব্যবসা-বাণিজ্য কতটা ধাক্কা খাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটেন। ব্রেক্সিট কার্যকর হলে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের দাম পড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া শুরু হতেই চাপ পড়বে অভিবাসীদের উপরে। কর্মী সংকটে পড়বেন অনেক শিল্পপতি।  ব্রিটেনের রেস্তোরাঁ, নির্মাণ শিল্প এবং স্বাস্থ্য সেবা সংস্থাগুলো অনেকটাই ইইউ-এর সদস্য দেশের নাগরিকদের ওপরে নির্ভরশীল।

সব সঙ্কট মিটিয়ে ব্রেক্সিট সফল করার চেষ্টা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এই প্রক্রিয়ার পথে বাধাবিপত্তি দূর করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তিনি। তাই গতকাল উড়ে গিয়েছেন স্কটল্যান্ডের উদ্দেশে। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেখানে। বলেছেন, ব্রেক্সিট শেষ না হওয়ার আগে স্কটল্যান্ডে দ্বিতীয় গণভোটের দাবি মেনে নেবেন না তিনি। গত মঙ্গলবার স্কটিশ পার্লামেন্টে গণভোটের দাবি পাশ হয়।

ইইউয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে টেরেসা ব্যর্থ হলে অভিন্ন বাজারের সুবিধা ছেড়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে ব্রিটেনকে। যার অর্থ, দেশের বাইরে আমদানি-রফতানি দুটিই কঠিন হয়ে পড়বে। ব্রেক্সিট হলে ব্রিটেনে বিভিন্ন দেশের ব্যাংক এবং বিমান সংস্থাগুলিকেও ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। ফলে কাজ হারাতে হবে ব্রিটেনের মানুষকেও। আর ইইউ-এর নাগরিকরা ব্রিটেনে এ বার কতটা স্বস্তিতে থাকতে পারবেন, সেই উদ্বেগও রয়েছে। 

সূত্র : আনন্দবাজার

বিডি প্রতিদিন/২৯ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর