ভারতে নারীরা কেন শান্তিতে বসবাস করতে পারেন না? এই প্রশ্ন তুলল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। হিমাচল প্রদেশে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করার অভিযোগ সম্পর্কিত একটি মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত এই প্রশ্ন তুলেছে।
ভারতের হিমাচল প্রদেশে ১৬ বছরের কিশোরীকে দিনের পর দিন উত্যক্ত করায় সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এই মামলায় অভিযুক্তকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় হিমাচল প্রদেশের হাইকোর্ট।
সেই মামলার শুনানিতেই গতকাল রবিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ভারতে কেন নারীরা শান্তিতে বাস করতে পারবেন না? একটি নারীর কাউকে প্রেম নিবেদন করা বা না করা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে কেউই তাকে জোর করতে পারেন না। এটাই প্রেমের শর্ত এবং পুরুষদের এটা মেনে নিতে হবে।এদিকে, ১৬ বছরের কিশোরীর মৃত্যুর আগে দেয়া বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী। আদালতে ওই আইনজীবী জানান চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আত্মঘাতী ওই কিশোরীর ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ফলে তার পক্ষে মৃত্যুকালীন জবানবন্দী লিখে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এমনকি ওই কিশোরী কথা বলতেও সক্ষম ছিল না। তার দুইটি হাতই অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল। এই অবস্থায় ওই কিশোরীর পক্ষে মৃত্যুকালীন জবানবন্দী দেওয়া কীভাবে সম্ভব?
আদালত সবকিছু শুনে জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন যার কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা