২৪ এপ্রিল, ২০১৭ ২০:০১

নগদ অর্থের সংকটে ভেনেজুয়েলা

অনলাইন ডেস্ক

নগদ অর্থের সংকটে ভেনেজুয়েলা

সংগৃহীত ছবি

লাতিন আমেরিকার তেল সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলা। বিপ্লবী হুগো শেভেজের মার্কিন বিরোধী সাহসী ভূমিকার জন্যই বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি পায়। শেভেজের মৃত্যুর পর থেকেই রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত ভেনেজুয়েলা এবার ভুগছে সময় আর অর্থসংকটে। দেশের দুঃসময়ে অর্থনীতিকে সচল রাখতে যে অর্থ জমা রাখা হয় তার মাত্র ১ হাজার কোটি ডলার অবশিষ্ট আছে দেশটির রিজার্ভে।

এর চেয়েও খারাপ খবর, অর্থের সিংহভাগই নগদে নেই। এর মধ্যে ৭০০ কোটি ডলারেরেই রয়েছে স্বর্ণের বার, যা লেনদেনেকে আরো কঠিন করে তুলবে। এদিকে ভেনেজুয়েলা বিপুল পরিমাণ ঋণে ভুগছে, যা খুব দ্রুতই পরিশোধ করতে হবে দেশটিকে। তেল রফতানি থেকেও কোনো অর্থসাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

দিনশেষে ভেনেজুয়েলা ঋণখেলাপি দেশে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। ফলে তারা তাদের মৌলিক চাহিদা, যেমন খাদ্য ও ওষুধ কেনার সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলবে। ২০১১ সালে দেশটির রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার কোটি ডলার। ২০১৫ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ২ হাজার কোটি ডলারে।
বুধবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যে তিনজন নিহত হয়, তাও দেশটির অর্থনৈতিক সংকট ঘিরেই তৈরি হয়েছে। ওই দিনই সরকারের হস্তক্ষেপে ভেনিজুয়েলায় জেনারেল মটরসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

আইএমএফ তাদের ভবিষ্যদ্বাণীতে বলেছে যে আগামী মঙ্গলবার দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ৭২০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। আর বেকারত্বের হার ২৫ শতাংশেরও বেশি হবে। এ নিয়ে টানা চতুর্থ বছরের মতো অর্থনৈতিক মন্দায় পড়তে যাচ্ছে দেশটি। ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এজন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং বিরোধী দেশগুলোকে দায়ী কাছে।

তবে অনেকেই প্রেসিডেন্টের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক কমিটিতে ভেনেজুয়েলা ৫ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে। অথচ সেখানে টাকার অভাবে খাদ্য আমদানি করতে না পেরে দেশটির লাখো নাগরিক না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

সূত্র: সিএনএন

বিডি প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর