উত্তপ্ত কোরীয় উপদ্বীপে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া। শক্তি প্রদর্শনে চলছে একের পর এক বিস্ফোরণ। আর এরই মধ্যে সামনে এলো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া তার মজুদকৃত ইউরেনিয়াম দিয়ে প্রতি ছয় সপ্তাহে একটি করে পরমাণু বোমা বানাতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য ও মাঠ গবেষণা পর্যালোচনা করে পিয়ংইয়ংয়ের এ সক্ষমতার কথা জানিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে আণবিক বোমার জন্মস্থান নিউ মেক্সিকোর লস আলমস উইপনস ল্যাবরেটরিতে ১১ বছর কাজ করা অধ্যাপক সেগফ্রাইড হেকার বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া অনেক কিছুই শিখে গেছে।’ পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু গবেষণাগারে সাতবার পরিদর্শনে গিয়েছেন স্ট্যানফোর্ডের এই অধ্যাপক। অধ্যাপক হেকার মনে করেন, উত্তর কোরিয়া এতদিনে এমন অস্ত্র বানিয়ে থাকতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে আঘাত হানতে সক্ষম।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্পের উৎকর্ষের জেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যে কেনো মূল্যে দেশটিকে থামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট। গণমাধ্যমটির মতে, ট্রাম্প প্রশাসন মনে করছে, উত্তর কোরিয়াকে থামানোর সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশটির পরমাণু প্রকল্প নিয়ে গত বছরের শেষে মার্কিন প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, পিয়ংইয়ং ধীরে ধীর তাদের পরমাণু গবেষণা উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ষষ্ঠবারের মতো পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দেয়ায় এ আশঙ্কা আরও জোরালো হয়েছে।প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্প বিষয়ে প্রকৃত তথ্য পাওয়ার কোনো উপায় নেই। কয়েক বছর আগে থেকেই তাদের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক কোনো ব্যক্তি বা দলের পরিদর্শন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ এপ্রিল, ২০১৭/ওয়াসিফ