‘সরকার বিরোধী উপাদান’ দ্বারা সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে এক মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপসহ প্রায় ২২টি আ্যাপ। আর এরই মধ্যে, এই অঞ্চলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমহীন জনজীবনের শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। খবর বিবিসি।
এ ব্যাপারে শ্রীনগরভিত্তিক ফটোসাংবাদিক জাভেদ দার বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার নিষেধাজ্ঞা তাকে ‘জনগণের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন’ রেখেছে এবং তার কাজকে ব্যাহত করেছে। একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজন হলেও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে তা পারছেন না বলে আক্ষেপ করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সরকারি ডাক্তার কাজী হারুন জানান, ‘আমাদের এখানে সামাজিক সচেতনতামূলক স্বাস্থ্যসেবা প্রোগ্রাম চললেও এসব মাধ্যম বন্ধ থাকায় তা কাউকে জানানো যাচ্ছে না।’ এছাড়া জানা গেছে, ভারতীয় মানবাধিকার কর্মীরাও এ ব্যাপারে সরব হয়েছেন। তারা এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা থেকে কাশ্মীরবাসীকে মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।বিবিসি জানিয়েছে, ইউটিউব, স্কাইপ, টেলিগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটসহ রেড্ডিট বন্ধ থাকায় বেশ বিপাকে পড়েছেন কাশ্মীরের জনগণ। এমনকী সেখানে থ্রি-জি ও ফোর-জি মোবাইল পরিষেবা গুলোর কার্যক্রমে ধীরগতি চলে এসেছে বলে অভিযোগ অনেকের।
সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/২৮ এপ্রিল, ২০১৭/ওয়াসিফ