২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ১৯:১০

১২ নেতার বিরুদ্ধে ইডি'র মামলা, বেকায়দায় তৃণমূল

দীপক দেবনাথ, কলকাতা:

১২ নেতার বিরুদ্ধে ইডি'র মামলা, বেকায়দায় তৃণমূল

ভারতের নারদ স্টিং অপারেশনের ঘটনায় দেড় সপ্তাহ আগেই ১২ জন তৃণমূলের নেতা সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এবার ওই অভিযুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয় ও দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করল ইডি। সিবিআই’র পাশাপাশি নতুন করে ইডি’র দায়ের করা মামলায় জোড়া ফাঁসে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এর ফলে আরও বেকায়দায় পড়ল তৃণমূল, কারণ তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতা-নেত্রীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে ইডি।

ইডি সূত্রে খবর, কী কারণে ওই ১৩ জনকে রুপি নিতে দেখা গেছে, রুপি কোন কাজে লাগানো হয়েছে, কোন ব্যাংকে জমা পড়েছে সেই বিষয়ে খুব শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাদের। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সকলের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই প্রকাশ্যে আসে নারদা স্টিং অপারেশনের ভিডিওটি। ওই ভিডিওতে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, মুকুল রায়, অপরূপা পোদ্দার, সুলতান আহমেদ, প্রসূণ ব্যানার্জি, পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবেশ মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র, বিধায়ক ইকবাল আহমেদসহ শাসকদলের একাধিক নেতা-বিধায়ক-সাংসদ-মন্ত্রীদের ঘুষের রুপি নিতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। এই মামলায় নাম জড়ায় বর্ধমানের তৎকালীন পুলিশ সুপার (আইপিএস কর্মকর্তা) সৈয়দ হুসেন মহম্মদ মির্জাকেও। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই দেশীয় রাজনীতিতে প্রবল হৈ চৈ পড়ে যায়। 
চলতি মাসের ১৭ তারিখ হাইকোর্টের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। এই মামলা প্রসঙ্গে গত সোমবারই তৃণমূল প্রধান মমতা ব্যানার্জি এটাকে ‘পলিটিক্যাল গেম’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার দাবি এফআইআর- এ কেউই দোষী প্রমাণিত হবে না।

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর