২৯ এপ্রিল, ২০১৭ ১২:০৮

চামড়া তুলে নেব : পুলিশ কর্মকর্তাকে বিজেপির সাংসদের হুমকি!

অনলাইন ডেস্ক

চামড়া তুলে নেব :  পুলিশ কর্মকর্তাকে বিজেপির সাংসদের হুমকি!

উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তার চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন বিজেপির মহিলা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা সিংহ রাওয়াত। বারাবাঁকির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জ্ঞানাঞ্জয় সিংহের আচরণ পছন্দ হয়নি বারাবাঁকির বিজেপি সাংসদ প্রিয়ঙ্কার। তাই এমন হুমকি। বিতর্ক সত্ত্বেও নিজের মন্তব্য সম্পর্কে অনুতপ্ত নন মহিলা সাংসদ। 

পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঠিক মতো কাজ না করলে ছেড়ে কথা বলবেন না তিনি, অনড় অবস্থানে থেকে এমনই জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ সদস্য প্রিয়ঙ্কা।

একটি খুনের মামলার তদন্তে ঠিক মতো কাজ করছেন না বারাবাঁকির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জ্ঞানাঞ্জয় সিংহ, দাবি বিজেপি সাংসদ প্রিয়ঙ্কা সিংহ রাওয়াতের। তদন্তের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতেই নাকি সাংসদ ফোন করেছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে। ফোনেই দুইজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জ্ঞানাঞ্জয় নাকি সাংসদ প্রিয়ঙ্কাকে বলেন, আমি পুলিশ, আমি জানি আমি কী করছি। এতেই নাকি চটে যান সাংসদ। পুলিশ কর্তাকে তিনি বলেন, সব মালাই বার করে নেব। চামড়া ছাড়িয়ে নেব।

বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। পুলিশকর্তাকে সাংসদ হুমকি দেওয়ায় বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। তবে তরুণী সাংসদ তাতে একটুও ঘাবড়াচ্ছেন না। তার অভিযোগ, আগের সরকারের আমলে এই সব পুলিশকর্তা অনেক অনিয়ম করেছেন। এখন আর কোনও অনিয়ম সহ্য করা হবে না। বিতর্কের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন সাংসদ। 

সেখানে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রয়েছে, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার রয়েছে। যারা কাজ করবেন, শুধু তারাই এই জেলায় থাকতে পারবেন। প্রিয়ঙ্কা সিংহ রাওয়াতের শাসানি পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের আচরণ যদি না বদলায়, তা হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপুল জয়ের পর থেকেই দলের বেশ কয়েক জন সাংসদ-বিধায়ক সরকারি কর্মী বা আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগে শিরোনামে এসেছেন। বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই তালিকায় এ বার জুড়ে গেল বারাবাঁকির মহিলা সাংসদের নামও। 

বিজেপি অবশ্য মহিলা সাংসদের আচরণকে সমর্থন করছে না। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী তথা মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা বলেছেন, আগের সরকারের আমলে শাসক দলের কর্মীরা বা আইন প্রণেতারা যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করতেন, আমাদের আইন প্রণেতারা বা দলীয় কর্মীরা তেমন ভাষা ব্যবহার যাতে না করেন, আমরা সেই চেষ্টাই করছি।

বিডি প্রতিদিন/ ২৯ এপ্রিল ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর