আপনি যদি উত্তর কোরিয়ার সরকারি বিমান সংস্থার বিমানে চাপেন, তাহলে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবেন যেন আপনার ক্ষুধা না পায়। এমনটাই মন্তব্য করেছেন একাধিক দেশের যাত্রীরা। কারণটা আর কিছুই নয়, ওই বিমানের খাবার।
একাধিক খাদ্যপ্রেমী উত্তর কোরিয়ার বিমানে পরিবেশিত খাবারকে বিশ্বের সবচেয়ে জঘন্য খাবার বলে মন্তব্য করেছেন। আর এই ইস্যুতেই এখন সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।
অজস্র টুইট ও ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে পাওয়া খবরের ওপর ভিত্তি করে জানা যায়, উত্তর কোরিয়ার সরকারি বিমান সংস্থার বিমানে এক অদ্ভুত বার্গার খেতে দেওয়া হয় যাত্রীদের। কোনও এক রহস্যময় প্রাণির মাংস, এক টুকরো চিজ ও একটিমাত্রই লেটুস পাতা সমৃদ্ধ ওই বার্গার এতটাই বিস্বাদ যে মুখে তোলা যায় না। এমনটাই মন্তব্য করেছেন যাত্রীরা।উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে বেজিংগামী বিমানের এক যাত্রী সেই খাবারের ছবিও টুইট করেছেন। আর এক যাত্রী লিখেছেন, “রহস্যময় মাংসের ঐতিহাসিক মিট বার্গার। এয়ার কোরিয়াতে পরিবেশিত একমাত্র খাবার।”
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে ‘কোরিয় বার্গার’। অনেকে এই অভিযোগও করেছেন যে, ওই খাবার একেবারে ঠান্ডা সার্ভ করা হয়। ফলে মুখে তোলার যোগ্যও থাকে না।
এক চিনা যাত্রী সম্প্রতি ওই খাবার সম্পর্কে লিখেছেন, “বার্গারটি যত রহস্যময়, তার ভিতরের সসটুকুও ততটাই রহস্যে মোড়া। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, সসটি এতটাই পাতলা যে সেটা রক্ত নয়, এটুকু অন্তত বোঝা যায়। বার্গারটি বোধহয় ফ্রিজ থেকে বার করে দেওয়া হয়। বরফের মতো ঠান্ডা।"
এ থেকে বোঝাই যায়, উত্তর কোরিয়ার ভিতরে যত রহস্য রয়েছে, সে দেশের সরকারি বিমান সংস্থার পরিবেশিত বার্গারও ততটাই রহস্যে মোড়া।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১১
