১ মে, ২০১৭ ১০:৪৮

ক্ষমতার কেন্দ্রে ইভাঙ্কা!

অনলাইন ডেস্ক

ক্ষমতার কেন্দ্রে ইভাঙ্কা!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকে আলোচিত নাম ইভাঙ্কা। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে লাইম লাইটে আসা নারী চরিত্র। প্রোটোকলের বাইরে গিয়ে মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন বিষয়ে সরব উপস্থিতি তার। নির্বাচনের সময় রূপ আর বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থিতি দিয়ে সবার নজর কেড়েছিলেন ইভাঙ্কা। ফার্স্ট ডটার হয়ে অন্যের কৌতুহলের জায়গায় আসন গেড়েছেন মার্কিন প্রশাসনের নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে প্রেসিডেন্টের বৈঠকে প্রোটোকল ভেঙে উপস্থিত থাকছেন ইভাঙ্কা। সরকারি গোপন নথিও দেখছেন। এবার শোনা যাচ্ছে, বাবার ওপর প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন ইস্যুও নির্ধারণ করে দিচ্ছেন ইভাঙ্কা। একইসঙ্গে নিজের ব্যবসা বিস্তারে ব্যবহার করছেন ক্ষমতার কেন্দ্রের আশপাশে থাকার সুবিধা।

গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সাক্ষাত্ করেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। বাবা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই চীনে ব্যবসা বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সংস্থা। সেই সুযোগটা কাজে লাগায় চীনের প্রেসিডেন্টের সফরের সময়। কসমেটিকস, চামড়ার ব্যাগ থেকে শুরু করে রূপচর্চার বিভিন্ন সেবা দেওয়া অনেকগুলো ট্রেডমার্কের আবেদন করে রেখেছিল ইভাঙ্কার প্রতিষ্ঠান। সেদিন নৈশভোজের দিনই ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সংস্থার জুয়েলারি, ব্যাগ এবং স্পা সার্ভিসের তিনটি ট্রেডমার্কের আবেদনের ছাড়পত্র দেয় চীন। 

এদিকে সমালোচকরা বলছেন, মার্কিন প্রশাসন মূলত চালাচ্ছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। বাবা শুধু আসনটা দখলে রেখেছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রোটকল ভেঙে উপস্থিত ছিলেন ইভাঙ্কা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইভাঙ্কার ইতিবাচক প্রভাব নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। বিভক্ত মার্কিন সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্পকে নমনীয় আচরণ করার পরামর্শকও মনে করা হয় তাকে। মেয়ের পরামর্শেই কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্পকে সুর নরম করতে দেখা যায়। শোনা যায়, ট্রাম্পের এই ভাষণের কপিও তৈরি করে দেন ইভাঙ্কা। 

ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মধ্যেই ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও তার স্বামী জেরার্ড কুশনার আবির্ভূত হন ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে। জামাতা কুশনারকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ইভাঙ্কা সরকারিভাবে কোনো পদ ছাড়াই হোয়াইট হাউসে আলাদা একটি অফিসের দখল নেন। সরকারি পদে না থেকেও ইভাঙ্কা হোয়াইট হাউসে আলাদা অফিস পাওয়ায় শুরু হয় সমালোচনা। শেষ পর্যন্ত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে হোয়াইট হাউসের সরকারি কর্মকর্তা হিসেবেই পরিচিতি পান ট্রাম্পকন্যা। বাবার উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করতে প্রেসিডেন্টের সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইভাঙ্কা। 

 

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর