কাশ্মীরে পাথর ছোড়া বন্ধ করতে ‘মানব ঢাল’ গড়েছিলেন সেনাবাহিনীর যে মেজর তাকে পুরস্কৃত করলেন ভারতের সেনাপ্রধান। সোমবার মেজর নীতীন লিতুল গগৈকে আর্মি স্টাফ কমেন্ডেশন কার্ড দিয়ে সম্মানিত করলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
অথচ গত ১৫ এপ্রিল ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সেনাবাহিনীর নিজস্ব আদালত। সেই তদন্তের রায় এখনো বেরোয়নি। তার আগেই সম্মানিত করা হলো মেজর লিতুলকে। শ্রীনগর থানাতেও এই নিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এইআইআর দায়ের করা আছে।
শ্রীনগরে উপ-নির্বাচনের সময় এক যুবককে গাড়ির সামনে বেঁধে বিভিন্ন এলাকা টহল দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই ভিডিওটি প্রকাশ পেতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, এভাবেই কাশ্মীরে অত্যাচার চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভিডিওটি প্রকাশ পেতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।ঘটনার পরে জম্মু–কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। তারপরই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এফআইআর করে কাশ্মীর পুলিশ। শেষে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ১৫ এপ্রিল ঘটনার তদন্ত শুরু করে সেনাবাহিনী। যদিও এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি। তিনি বলেছিলেন ঠান্ডা ঘরে বসে সেনাবাহিনীর সমালোচনা করা উচিত নয়।
ঘটনার পরে মেজর লিতুল গগৈ বলেছিলেন, সে সময় তার দায়িত্ব ছিল উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তার দলের সদস্যদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। তার এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলিও।
তবে অনেকে এর তীব্র সমালোচনাও করেছিল। সাবেক নর্দার্ন কমান্ডার লে. জেনারেল এইচএস পানাগ এক তরুণকে গাড়ির সামনে বাঁধার ঘটনা জানার পর টুইট করেছিলেন, মানব-ঢাল হিসেবে গাড়ির সামনে এক পাথর-নিক্ষেপকারীকে বেঁধে রাখার ছবিটি ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জাতিকে চিরকাল তাড়া করে ফিরবে।
বিডি প্রতিদিন/২৩ মে ২০১৭/আরাফাত