ধর্মের নামে হানাহানি যখন ভারতের রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে, তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়তে চলেছে পাঞ্জাব। এই রাজ্যের বসবাসকারী শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রমজানের আগেই তাদের গ্রামে গড়ে তুলবেন মসজিদ।
তাদের ইচ্ছা গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন রমজানের দিন সেখানে গিয়ে নামাজ পাঠ করতে পারেন। আর এই উদ্যোগের মাধ্যমেই তারা চান দেশের ঐতিহ্য ‘ইউনিটি ইন ডায়ভারসিটি’ ফিরে আসুক।
পাঞ্জাবের গালিব রাম সিং ওয়াল গ্রামটি শিখ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের অধ্যুষিত গ্রাম। ১৯৯৮ সালে গ্রামের মানুষজন একটি প্রস্তাব তৈরি করেছিল এই মসজিদ নির্মানের উদ্দেশে। যা বাস্তবায়িত হল এতদিন পর। সেখানে রমজানের একমাস আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে মসজিদটির। আর এই ঘটনা এখন পাঞ্জাবে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে।
পাঞ্জাবের শাহি ইমাম মওলানা হাবিবুর রহমান সানি লুধিয়ানভি জানান, এখানের গ্রামবাসীরা যা করলেন তা এক কথায় সৌভাতৃত্ববোধের নিদর্শন। এতদিনে মুসলিমদের একটি নিজস্ব মসজিদ হল।
এই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান জয়দীপ কাউর বলেন, এটাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই গ্রামই উদাহরণ হয়ে থাকবে কিভাবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজন এখানে পরস্পরের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১