২৮ মে, ২০১৭ ২০:০১

যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরতা নয়, এবার নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম ভারতের

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরতা নয়, এবার নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম ভারতের

ফাইল ছবি

অন্য দেশের উপর ভরসা করার দিন শেষ! একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে দেশের মধ্যে যে কোনও জায়গা খুঁজে পেতে আসছে ‘ইন্ডিয়ান রিজিওনাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’।  এই সিস্টেম চালু হলে আর জিপিএসের উপর ভরসা করতে হবে না ভারতকে।  

দেশীয় প্রযুক্তিতেই ভারতের মধ্যে যে কোনও জায়গা খুঁজে বের করা সম্ভব।  নতুনএই স্যাটেলাইট সিস্টেমের নাম দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী।  প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নাম অনুসারে, নয়া এই স্যাটেলাইটের নাম NAVIC। আর এই সিস্টেম তৈরি করতে ইসরোর খরচ পড়বে ১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা।

সামনের বছরের শুরুতেই বাজারে লঞ্চ করা যাবে এই নেভিগেশন সিস্টেম।  গোটা বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশই আছে যাদের এমন সিস্টেম আছে।  আর এবার সেই তালিকায় প্রবেশ করল ভারতও।  তবে এখনও এই নেভিগেশন সিস্টেম নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।  

আহমেদাবাদের স্পেশ অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর তপন মিশ্র জানান, সাতটি স্যাটেলাইটের সাহায্যে কাজ করবে NavIC। আমেরিকার জিপিএস সিস্টেম কাজ করে ২৪টি স্যাটেলাইটের সাহায্যে।  তাই এই সিস্টেমের সাহায্যে গোটা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তকে ট্র্যাক করতে পারে।  কিন্তু ভারতের এই সিস্টেম পরিধিতে অনেক ছোট! তাও সত্যেও এই সিস্টেম ভারতে রীতিমত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।  এমনকি, ভারতের যে কোনও ছোট জায়গার সঠিক তথ্য এই সিস্টেম দিতে পারবে বলে দাবি করেছেন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা।

ভারতের এই নেভিগেশন সিস্টেম যে কোনও স্মার্টফোনে কাজ করবে।  সাধারণ মানুষ তো বটেই, সেনাবাহিনী, প্রশাসনের কাজে আসবে।  গোটা ভারত তো বটেই, ভারত মহাসাগর ও তার আশেপাশের জায়গাগুলিও ধরা পড়বে নয়া এই সিস্টেমে।  এমনকি, পূর্ব চিনের কিছুটা অংশও ভারতের নেভিগেশন স্যাটেলাইটে চলে আসবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আমেরিকা প্রথম জিপিএস সিস্টেম নিয়ে আসে।  সেই সময় থেকে মার্কিন এই জিপিএসেই ভরসা ছিল ভারতের।  কিন্তু ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময়ে জিপিএস তথ্য দিতে অস্বীকার করে আমেরিকা।  আর সেই সময় থেকে জেদ চাপে ভারতের।  তখন থেকে নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম তৈরির চেষ্টায় লেগে পড়েন ভারতের বিজ্ঞানীরা।  অবশেষে সেই সাফল্য আসছে ভারতের হাতে।  চীন এই বিষয়ে এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তা করে উঠতে পারেনি।  কিন্তু ভারত তা করে দেখাল।

সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর
বিডি প্রতিদিন/ ২৮ মে, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর