প্রবল লড়াই চলছে ইরাকের মোসুল শহরের এক প্রান্তে। আর অন্য প্রান্তে ধংসের মাঝেও ঈদ উৎসবে মেতে ওঠার পালা। চারিদিকে নাশকতার চিহ্ন। বহু মানুষের মৃত্যুর সাক্ষী হয়ে থাকা মোসুলের একাংশে এসেছে স্বস্তি। সেখানেই পালিত হয়েছে ইদ উল ফিতর।
এএফপি, এপি, বিবিসি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, পূর্ব মোসুলের রাস্তায় রাস্তায় ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছেন সবাই। বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়েছে শিশুদের। আইএস অধিকৃত এইসব এলাকায় এতদিন পর্যন্ত ঈদের নামাজ পাঠের অনুমতি থাকলেও আনন্দে মেতে ওঠায় নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।
জানা গেছে, ইরাকের এই শহরটির পূর্বদিক জঙ্গি কবল থেকে মুক্ত হলেও পশ্চিম প্রান্ত এখনো ইসলামিক স্টেটের কবলে। সেখানেই সেখান বিশাল মানবঢালের আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে রেখেছে বাগদাদি বাহিনী। আইএস প্রধান জীবিত না মৃত সেই প্রশ্নের উত্তরেও রয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও রুশ সরকারের দাবি, নিহত হয়েছে নরকের কারবারি আল বাগদাদি।বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর, টাইগ্রিস নদীর তীরে মার্কিন সাহায্যে ইরাকি-কুর্দ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে ইসলামিক স্টেটের। বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিম মোসুলের রাস্তায় রাস্তায় পড়ে আছে মৃতদেহ। একশ দিনের টানা সংঘর্ষের পর গত জানুয়ারিতে পূর্ব মোসুল দখল করে ইরাকি সেনা। শহরের পুরাতন এলাকার পিছনে সরে যেতে হয় আইএস জঙ্গিদের। গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে, সাড়ে তিনশো আইএস জঙ্গি সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে। মোসুলকে সম্পূর্ণ আইএস মুক্ত করাই লক্ষ্য যৌথ সেনাদের।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৩