২৮ জুন, ২০১৭ ১৮:১৭

সাইবার হামলায় উৎপাদন বন্ধ কারখানার!

অনলাইন ডেস্ক

সাইবার হামলায় উৎপাদন বন্ধ কারখানার!

গোটা বিশ্ব জুড়ে বড় ধরনের 'ওয়ানাক্রাই র‍্যানসমওয়্যার' সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এতে বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান পড়েছে বিপাকে। এমনকি বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক কার্যক্রম, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমও।

আর সাইবার হামলা থেকে বাদ যায়নি অস্ট্রেলিয়ার ক্যাডবেরি চকোলেট ফ্যাক্টরিও। যদিও এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার কোনো কোম্পানি সাইবার হামলার শিকার হলো। এতে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে তারা। বুধবার ক্যাডবেরি কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তাসমানিয়ার ওই ফ্যাক্টরিতে ৫০০ কর্মী রয়েছেন। বছরে প্রায় ৫০ হাজার টন চকলেট উৎপাদন হয় এখানে। যার বেশির ভাগই সরবরাহ হয় অস্ট্রেলিয়ায়। আজ সকালেও উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখে ক্যাডবেরি। কখন এটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না বলে জানান জন সর্ট।

উল্লেখ্য, ‘র‌্যানসমওয়্যার’ ছড়িয়ে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেমকে অকেজো করে দিয়েছে হামলাকারীরা। সুইস সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক একটি সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবারের এই সাইবার হামলায় প্রাথমিকভাবে ইউক্রেন, রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেম আক্রান্ত হয়েছে।  

এছাড়া রাশিয়ার তেল কোম্পানি ও দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকের সার্ভ‍ারে এ সাইবার হামলা চালানো হয়। হামলা হয়েছে রাশিয়ার চেরেনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। আক্রান্ত হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দর এবং খ্যাতনামা শিপিং ফার্ম এপি মোলার-মায়েরস্ক’র নেটওয়ার্কও। তারাই মূলত হামলার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করে। এছাড়া স্পেন ও ফ্রান্সে এই হামলা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ১৩ মে একযোগে বিশ্বের ৯৯টি দেশে বড় ধরনের সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় আক্রান্ত হয় স্বাস্থ্য ও টেলিকমসহ বিভিন্ন খাতের বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক।  

ব্রিটিশ বিজ্ঞাপণী প্রতিষ্ঠান ডাব্লিউপিপি জানায়, তাদের আইটি সিস্টেম র‍্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে হামলার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পুরো আইটি সিস্টেম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, র‍্যানসমওয়্যার দিয়ে (ওয়ানাক্রাই বা আরও একাধিক নামে পরিচিত) কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। র‍্যানসমওয়্যার হচ্ছে পরিচিত ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম। কম্পিউটার বা মুঠোফোনের মতো যন্ত্রের মধ্যে এই সফটওয়্যার ঢুকিয়ে দিতে পারলে যন্ত্রটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া যায়। এ কাজ করে তা থেকে মুক্তির জন্য অর্থ দাবি করে হ্যাকাররা।  

সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/ ২৮ জুন, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর