এবার চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলল শ্রীলঙ্কা। নিজ দেশের দক্ষিণ প্রান্তে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য চীনের সহযোগিতায় বন্দর গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। যদিও পরে এ নিয়ে দেশে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। আর এই বন্দর নিয়ে চীনের সঙ্গে নতুন করে চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে শ্রীলঙ্কা।
জানা গেছে, বন্দরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল সাড়ে দশ লক্ষ কোটি টাকা। তখন চুক্তি অনুসারে চীন নিজের দখলে রেখেছিল ৮০ শতাংশ শেয়ার। পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক জলপথে তৈরি হয়েছিল এই বন্দরটি। এতে লাভ বেশি হয়েছিল চীনেরই। পুরনো চুক্তি শেষ হওয়ার পরে নতুন করে চুক্তির প্রস্তাব দেয় চীন। কিন্তু এবার বেঁকে বসেছে শ্রীলঙ্কা। চীনের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা।
সীমান্ত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সেই বন্দর ব্যবহার থেকে চীনকে বিরত রাখতে চায় শ্রীলঙ্কা। তাদের অভিযোগ, শুধু বাণিজ্যিক স্বার্থে নয় চীন এই বন্দরকে সামরিক ক্ষেত্রেও ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ভারত, জাপান, আমেরিকাও।চীন শ্রীলঙ্কার এই বন্দরকে সামরিক স্বার্থে নানা ভাবে ব্যবহার করছে। ২০১৪ সালে ভারত শ্রীলঙ্কাকে এ নিয়ে সাবধান করে জানিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার পুনর্নির্মিত একটি বন্দরের কাছে নোঙর করেছে চীনা সাবমেরিন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার জলসীমান্তে চীনের এই সাবমেরিন শঙ্কার দানা বেঁধেছিল দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয়ের। তারপরেই শ্রীলঙ্কা বেঁকে বসে বলে মনে করা হচ্ছে।
চীন পরিচালিত হামবানটোটা বন্দর নিয়ে বিশেষ চিন্তায় রয়েছে এশিয়ার দেশগুলি। সেটি বিস্তারের পরিকল্পনায় রয়েছে চীন। ইতিধ্যেই ১৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন তৈরির পরিকল্পনায় রয়েছে তারা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই বন্দরটি তারা সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেয এই নিয়েই শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ জুলাই, ২০১৭/ তাফসীর