২৬ জুলাই, ২০১৭ ১৩:০২

কাশ্মীরে অশান্তি ছড়াতে পাকিস্তানের অস্ত্র 'হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ'

অনলাইন ডেস্ক

কাশ্মীরে অশান্তি ছড়াতে পাকিস্তানের অস্ত্র 'হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ'

সংগৃহীত ছবি

হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে অশান্ত কাশ্মীর। চলছে লাগাতার বিক্ষোভ, পাথর ছোড়া। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে উপত্যকায় অশান্তিতে পাকিস্তানের জঙ্গিরা ইন্ধন দিচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন। 

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির এক এনআইএ কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, কাশ্মীরের কমপক্ষে ২৮টি এমন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সক্রিয়, যে গ্রুপগুলি যারা তৈরি করেছে, যারা পরিচালনা করেন, এমনকী গ্রুপের বেশ কয়েকজন সদস্যও পাকিস্তানের নাগরিক। আর সেই তালিকায় রয়েছে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়ার জঙ্গিরাও।

জানা গেছে, কাশ্মীরে এখন পাঁচ হাজার মানুষ বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য। এদের বেশিরভাই স্থানীয় কাশ্মীরি যুবক। তবে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে এমন অনেক মোবাইল নাম্বারের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলি পাকিস্তানের। বস্তুত, কাশ্মীরের এমন অনেক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সক্রিয়, যেগুলি হয় কোনো পাকিস্তানের নাগরিক তৈরি করেছে অথবা পাকিস্তানের কেউ গ্রুপগুলি পরিচালনা করে। 

এনআইএ-র এক তদন্তকারী জানিয়েছেন, ‘কাশ্মীরের সক্রিয় হোয়াটসঅ্যাপগুলিতে আমরা পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি মোবাইল নাম্বার শনাক্ত করেছি। যার মধ্যে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-ইদ-দাওয়ার পোস্টারে দেখা যায়, এরকম বেশ কয়েকটি মোবাইল নম্বারও পাওয়া গেছে। এর থেকেই প্রমাণ হয়, কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে জামাত-উদ-দাওয়ার যোগাযোগ আছে।’

কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই চলার সময়ে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে বিভিন্ন উসকানিমূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এআইএ-র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই হোয়াটসঅ্যাগ গ্রুপগুলি তৈরি করার মূল উদ্দেশ্যই হল, উপত্যকার যে এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই চলছে, সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ ও পাথর ছোড়াতে কাশ্মীরি যুবকদের  উসকানি দেওয়া। 

প্রসঙ্গত, গত বেশ কয়েক বছর ধরে কাশ্মীরে যখনই জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তবাহিনীর গুলির লড়াই হয়েছে, তখনই ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে একদল কাশ্মীরি যুবক। এনআইএ-র দাবি, এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সূত্র ধরেই পাথর ছোড়াতে অভিযুক্ত ৪৮ জন কাশ্মীরি যুবকের মোবাইল নাম্বার শনাক্ত করা গেছে। এদের বেশিরভাগই দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা। 

এনআইএ সূত্রে খবর, খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হবে। বস্তুত, কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির ছেলে নইম গিলানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।


বিডি প্রতিদিন/২৬ জুলাই ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর