২৭ জুলাই, ২০১৭ ১৬:৪৮

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে প্রতিদিনই রক্তক্ষরণ হচ্ছে : মিশেল ওবামা

অনলাইন ডেস্ক

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে প্রতিদিনই রক্তক্ষরণ হচ্ছে : মিশেল ওবামা

ফাইল ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শাসন পরিচালনা করেছিলেন বারাক ওবামা। তাঁর হাত ধরেই ফার্স্ট লেডি হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন মিশেল ওবামা। 

তবে শুধুমাত্র স্বামীর পরিচয়কে নির্ভর করে বাঁচতে হয়নি তাঁকে। একাধিক সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য সমাজের সব স্তর থেকে সম্মান পেয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছর হোয়াইট হাউসে কাটানোর পরও বর্ণ বিদ্বেষের হাত থেকে রেহাই মেলেনি। 

সম্প্রতি ‘‌উইমেনস ফাউন্ডেশন অফ কলোরাডো’‌র ৩০তম বর্ষপূর্তিতে তার বিবরণ দেন মিশেল। ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন হিলারি ক্লিন্টনের হয়ে শেষবার জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তারপর গত মঙ্গলবার প্রায় ৮০০০ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শোনালেন। 

তিনি বলেন, ‘‌মানুষ জানে যে, ঠিক কোন জায়গায় আঘাত করলে  আমি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবো। তাই গত ৮ বছর এই দেশের  মানুষের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করার পরও মানুষ তার পরিশ্রমের মূল্য দিতে চায় না। কৃষ্ণাঙ্গ বলেই আমার প্রতি এই আচরণ। নিজের কষ্টের কথা কোনওদিন লুকোইনি। কারণ মুখ বন্ধ রাখলে হেনস্থাকারীরা আরও সুযোগ পেয়ে যাবে। মানতে কোনও বাধা নেই যে, প্রতিদিন এ ধরনের ছোট ছোট হাজার ক্ষত নিয়েই আমরা বেঁচে রয়েছি। প্রতিদিনই রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তা সত্ত্বেও উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’‌ 

সঠিক অর্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। হোয়াইট হাউসে পা রাখার প্রথম দিন থেকেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য কখনও মুখের ওপরই কেউ ‘‌বেয়াড়া’‌ বলে ডেকেছেন। কেউ আবার বলেছেন, প্রাক্তন ‘‌শ্বেতাঙ্গ’‌ ফার্স্টলেডিদের মতো তাঁর মধ্যে ‘‌আভিজাত্য’‌ নেই। 

‘‌ফক্স নিউজ’‌ টিভি চ্যানেলে তাঁকে ‘‌স্ত্রী নয়, বরং বারাক ওবামার মায়ের মতো দেখতে লাগে’‌ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিদায়ী লগ্নেও হেনস্থা থেকে রেহাই মেলেনি। গত বছর নভেম্বর মাসে ভার্জিনিয়ার একটি অলাভজনক সংস্থার ডিরেক্টর তাঁকে ‘‌হিলজুতো পরা শিম্পাঞ্জি’‌ বলে উল্লেখ করেন। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডন্ট হওয়ার পর পামেলা ডেলর নামের ওই মহিলা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘‌কতদিন পর হোয়াইট হাউস একজন সুন্দরী, অভিজাত ফার্স্ট লেডি পাবে। খুব উৎসাহিত বোধ করছি। এতদিন ধরে হিলজুতো পরা শিম্পাঞ্জিটিকে দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’‌ তাঁর সেই মন্তব্যের পর অবশ্য চারিদিকে সমালোচনা ঝড় উঠেছিল। সংস্থার পদ থেকে টেলরের অপসারণ চেয়ে প্রায় ২ লাখ আবেদন জমা পড়েছিল। তাতে শেষপর্যন্ত চাকরি হারান তিনি। 

সূত্র: আজকাল
বিডিপ্রতিদিন/ ২৭ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর