১৬ আগস্ট, ২০১৭ ১৭:৫২

সীমান্তে চীনা ফাইটার জেটের দাপটে চিন্তিত ভারত

অনলাইন ডেস্ক

সীমান্তে চীনা ফাইটার জেটের দাপটে চিন্তিত ভারত

ফাইল ছবি

ভারত-চীন সীমান্তে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে। এরই জের ধরে ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে বাড়ল চীনা ফাইটার জেটের দাপট। জানা যায়, তিব্বতের লাসায় কয়েকটি চীনা ফাইটার জেট মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবারই দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে। লাদাখে নিজেদের সীমানা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করলে চীনা সেনাকে বাধা দেয় ভারতীয় সেনারা। এরপর ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে চীনের সেনাবাহীনী। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। এরপরে বেশ কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়। এরপরেই তিব্বতে চীনা এয়ারফোর্স মোতায়েন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই ডোকলাম ইস্যু আর চরম আকার নিতে শুরু করেছে। এরপর ভারত কী পথ বেছে নেবে, সেটাই প্রশ্ন।  প্রায় গত দু’মাস ধরে সিকিম সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনী প্রায় মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কারও এক পা’ও সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সংবাদ সূত্রে বলা হয়, ভারতের ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার সকাল ৬টা-৯টার মধ্যে লাদাখের ফিঙ্গার ফোর ও ফিঙ্গার ফাইভ এলাকা দিয়ে দুইবার সীমান্ত ডিঙানোর চেষ্টা করে পিএলএর সেনারা। কিন্তু ভারতের সতর্ক সেনাদের প্রতিরোধে তাদের চেষ্টা উভয়বারই ভণ্ডুল হয়ে যায়।
মানববন্ধন তৈরি করে চীনা সেনাদের সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করে ভারতীয় সেনারা। বাধার মুখে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে তারা। জবাবে ভারতীয় বাহিনীও পাথর ছোঁড়ে। এসময় উভয় বাহিনীর কয়েকজন আহত হন। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় উভয় দেশের কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে দুই দেশের বাহিনী পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ডোকালাম সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর টানা অবস্থানের মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটল। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি নয়াদিল্লিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, ডোকালাম এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে ভারত ও চীন উভয়েই। ফিঙ্গার ফোরে চীন একটি সড়ক নির্মাণ করেছে, যা দুই দেশের সীমারেখা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। পানগং হৃদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড় টহলের জন্য ব্যবহার করে থাকে চীন। এই হৃদের ৪৫ কিলোমিটার পাড় ভারতের এবং ৯০ কিলোমিটার পাড় চীনের মধ্যে পড়েছে। এই হৃদকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনও বিদ্যমান।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর