সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা পশ্চিম আন্টার্কটিকার জমাট বরফের নীচে এক সঙ্গে ৯১টি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেয়েছেন।
গবেষকদের মতে, এগুলো তুলনামূলক নতুন এবং কোনো দিনই দিনের আলো দেখেনি। তাদের শঙ্কা, এগুলোতে অগ্ন্যূৎপাত হলে বরফ স্তরে ধস নামতে পারে। যার প্রভাবে পানির স্তর বাড়তে পারে। ফলে ভূপৃষ্ঠের একটা বড় অংশ জলের তলায় যেতে পারে। তবে, কিছুটা আশার আলোও পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আগ্নেয়গিরিগুলো সুপ্ত অবস্থাতে রয়েছে। এই মুহূর্তে এগুলোর জেগে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম।এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলটির প্রধান ম্যাক্স ভ্যান সতর্ক করে বলেছেন, ‘উষ্ণায়ণের ফলে বরফ গলতে শুরু করলে অগ্ন্যুৎপাত এড়ানো কঠিন হয়ে যাবে।’
আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির উচ্চতা প্রায় ৪০০০ মিটার। যা উচ্চতায় সুইজারল্যান্ডের ইগার আগ্নেয়গিরির সমান। নতুন আবিষ্কৃত এই আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চলে ১০০ থেকে ৩৮৫০ মিটারের পাহাড়ের সন্ধান মিলেছে।
ম্যাক্স ভ্যানের কথায়, ‘আগ্নেয়গিরিগুলোর সমুদপৃষ্ঠ থেকে ১০০-৪০০০ মিটার পর্যন্ত। সবগুলোই বরফে ঢাকা। ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরু বরফের নীচে ঢাকা রয়েছে এসব আগ্নেয়গিরি।’
গবেষকদের ধারণা, রস আইসশেলফের নীচে বরফ ঢাকা ওই অঞ্চলে আরও বহু আগ্নেয়গিরি রয়েছে। সুতরাং, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি অঞ্চল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষকরা জানান, বরফের পুরু চাদরে চাপা থাকায় আগ্নেয়গিরিগুলোর ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য’ বজায় রয়েছে। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে দক্ষিণ মেরুতে নতুন করে বরফও তৈরি হচ্ছে।
এত দিন পূর্ব আফ্রিকার আগ্নেয় পর্বতমালায় সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে বলে মনে করা হত। কিন্তু ভূতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, সংখ্যার দিক থেকে ওই অঞ্চলকেও ছাপিয়ে যাবে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার এই অঞ্চল।
বিডি প্রতিদিন/১৯ আগস্ট ২০১৭/এনায়েত করিম