২০ আগস্ট, ২০১৭ ১১:০০

নিউ ইয়র্ক-লস এঞ্জেলেস শহরে স্বল্প আয়ের মানুষদের নাজুক অবস্থা

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক

নিউ ইয়র্ক-লস এঞ্জেলেস শহরে স্বল্প আয়ের মানুষদের নাজুক অবস্থা

আমেরিকার নিউ ইয়র্ক-লস এঞ্জেলেস সিটিতে স্বল্প আয়ের লোকজন খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।বিশেষ করে, বাসা ভাড়া অকল্পনীয় হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক মানুষই অস্বাস্থ্যকর এবং বসবাসের অনুপযোগী বাসায় দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হাউজিং এ্যান্ড আরবান এফেয়ার্স পরিচালিত এক গবেষণায় উদ্বেগজনক এ তথ্য উদঘাটিত হয়েছে।

লস এঞ্জেলেস সিটির স্বল্প আয় তথা গরিবদের অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ৫ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ প্রতি মাসে অর্জিত অর্থের অর্ধেকই ব্যয় করছেন বাড়ি ভাড়া বাবদ। ২০১৫ সালে এ গবেষণা চালানো হয়েছে।

এদিকে, নিউ ইয়র্ক সিটির স্বল্প আয়ের তথা গরিব মানুষদের ৪৪ ভাগ বাড়ি ভাড়া সংকটে রয়েছেন। এই সিটির ১৮ লক্ষাধিক স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে ভাড়া সংক্রান্ত সমস্যায় রয়েছেন আট লাখ ১৫ হাজার। একইভাবে মায়ামী, ফিনিক্স এবং রিভারসাইডের স্বল্প আয়ের অধিকাংশই একই পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।

বাড়িভাড়া সংকটের সুযোগে অনেক বাড়ির মালিক বেআইনীভাবে রুমের ভেতরে রুম, লিভিং রুমকে বেডরুম, এমনকি কীচেনকেও পার্টটাইম বেডরুমে পরিনত করছেন। আর এসব বেআইনি ও অমানবিক কাজে লিপ্তদের ভিকটিম হচ্ছেন অভিবাসীরা। যুক্তরাষ্ট্রে নবাগত হওয়া এবং অনেকের অভিবাসনে নানা সমস্যা থাকায় কেউ এসব অপকর্মে লিপ্তদের বিরুদ্ধে যেতে চান না।

বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির ফলে লস এঞ্জেলেস সিটিতে গৃহহারার সংখ্যা চরমে উঠেছে। গত বছর তা বেড়েছে ২৩ ভাগ। এ সংখ্যা হচ্ছে প্রতি কাউন্টিতে ৫৮ হাজার। এ বছরের জানুয়ারিতে সিটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এ মাসের শুরুতে রিয়েল এস্টেট ফার্ম ‘যিলো’ কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৫ ভাগ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আরো ২০০০ মানুষ যোগ হচ্ছে গৃহহারাদের তালিকায়। আগামী বছর এই সিটিতে ৪.৫ ভাগ গৃহহারা বাড়বে।

সিয়াটল এবং নিউ ইয়র্কেও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে আয় না বাড়ায় অনেক মানুষ গৃহহারাদের তালিকাভুক্ত হচ্ছেন। নিউ ইয়র্ক সিটিতে স্বল্প আয়ের লোকজনের জন্যে সিটির হাউজিং-ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকলেও তা দিয়ে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। অর্থাৎ আরো অনেক বাড়ি দরকার।

হাউজিং অ্যান্ড আরবান এফেয়ার্স-এ তথ্য অনুযায়ী, জাতীয়ভিত্তিক সংকটে রয়েছেন ৬৬ ভাগ আমেরিকান। আর এ সমস্যার উদ্ভব হয়েছে ২০১১ সাল থেকে। ভাড়া সংকটের শুরু ২০০৭ সালে। ক্রমান্বয়ে তা প্রকট আকার ধারণ করেছে। শারীরিকভাবে কাজে অক্ষম, প্রবীন এবং শিশু রয়েছে- এমন পরিবারই নাজুক অবস্থায় সবচেয়ে বেশি।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৩ ও ২০১৫ সালের মধ্যে অনেক মানুষের আয় বাড়লেও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির সাথে তা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এমনকি, যেসব বাড়ির মালিক গরিব মানুষদের বিপরীতে সরকার থেকে ভর্তুকি পাচ্ছেন, তারাও ভেতরে ভেতরে ভাড়া বাড়িয়েছেন। 


বিডি প্রতিদিন/২০ আগস্ট, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর