এ দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন খেলোয়াড়রা। আমেরিকান ফুটবল, বাস্কেটবল, বেসবল খেলার সাথে জড়িত খেলোয়াড়, কোচ, ক্লাব মালিক, অ্যাসোসিয়েশন প্রধানসহ আরও অনেকেই রয়েছেন সমালোচকদের তালিকায়।
তাদের মধ্যে রয়েছেন তারকা বাস্কেটবল খেলোয়াড় ল্যব্রন জেমস ও দেশটির বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়ন দল গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়রের কোচ স্টিভ কার।
এই দলটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর হোয়াইট হাউজে তাদের জন্য একটি অভ্যর্থনার আয়োজন হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু দলটিকে পাঠানো আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হয়। যার কড়া সমালোচনা করেছেন ল্যব্রন।
কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের একজন স্টিফেন কারি ওই অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ঘটনার শুরু আসলে আরও অনেক আগে। আর তার সাথে জড়িয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের প্রতি বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ।
যার প্রতিবাদে গত বছর একটি খেলায় জাতিয় সংগীত চলাকালীন প্রতিবাদ হিসেবে উঠে দাঁড়াননি আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড় কলিন কাপারনিক।
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন যে সব খেলোয়াড়েরা উঠে দাঁড়াবেন না তাদের বরখাস্ত করা উচিত।
টুইট বার্তায় ট্রাম্প কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করেছেন। ন্যাশনাল ফুটবল লীগের কমিশনার রজার গুডেল ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেছেন ট্রাম্পের মন্তব্যে ভয়াবহ অসম্মান প্রকাশ পেয়েছে।
ন্যাশনাল ফুটবল লীগ খেলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান এরিক উইনস্টন বলেছেন ট্রাম্পের মন্তব্য নাগরিক অধিকারের ওপর এক চপেটাঘাত।
বেসবল খেলোয়াড় ব্রুস ম্যাক্সওয়েল কলিন কাপারনিককে অনুসরণ করে জাতিয় সঙ্গীত চলাকালীন হাঁটু মুড়ে বসেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্ণবাদ উস্কে দিচ্ছেন এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই। তার টুইট বার্তাও এর আগে নানা সময় সমালোচনার শিকার হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭/আরাফাত
