২০ অক্টোবর, ২০১৭ ২২:১৯

ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক, নির্যাতিতার পরিবারকে বয়কট গ্রামবাসীর

অনলাইন ডেস্ক

ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক, নির্যাতিতার পরিবারকে বয়কট গ্রামবাসীর

প্রতীকী ছবি

স্কুলের নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তি সপ্তাহ তিনেক আগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। কিন্তু, তাতেও সমস্যা মেটেনি। উল্টো, গ্রামে সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েছে নির্যাতিতার পরিবার।

গ্রামবাসীদের দাবি, বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওই কিশোরী অপবিত্র হয়ে গেছে। তাই গ্রামে সবাইকে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করতে হবে নির্যাতিতার পরিবারকে। তবে তাদের সমাজে ঠাঁই হবে!

ঘটনা ওড়িশার। ওড়িশার কোরাপুর জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাড়ি নির্যাতিতা কিশোরীর। গ্রামেরই একটি সরকারি আবাসিক স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে সে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ওই কিশোরীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী। প্রথমে কিশোরীটির গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, পাঁচ মাসের ভ্রুণের গর্ভপাত করতে রাজি হয়নি চিকিৎসকরা। এরপরই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার কিশোরীর বাবা। প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

এদিকে, আইনের দ্বারস্থ হয়ে সমস্যা পড়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করেছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু, নবম শ্রেণির ছাত্রীটি তো কোনও অপরাধ করেনি।

নির্যাতিতার বাবা বলেন, আমি দিনমজুর। গ্রামের সবাইকে খাওয়াতে গেলে ৩০ হাজার খরচ হবে। আমি এত টাকা কোথায় পাব?

ওড়িশায় ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার জন্য বিশেষ প্যাকেজ চালু করেছে সে রাজ্য সরকার। নির্যাতিতাকে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে অবশ্য নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি জেলা প্রশাসন।

কোরাপুট জেলার ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা জগন্নাথ সোরেন জানান, বিভাগীয় তদন্তে দেখা গেছে ওই কিশোরীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। তবে যৌন হেনস্তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করা যাবে না।

বিডি প্রতিদিন/২০ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর