১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৭:৩৫

জেরুজালেমকে রক্ষায় 'তৃতীয় ইনতিফাদায়' হিজবুল্লাহর সমর্থন

অনলাইন ডেস্ক

জেরুজালেমকে রক্ষায় 'তৃতীয় ইনতিফাদায়' হিজবুল্লাহর সমর্থন

লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিন্দায় সরব বিশ্ববাসী। এদিকে, অবৈধ দখলদারি থেকে জেরুজালেমকে রক্ষায় ফিলিস্তিনিদের তৃতীয় ইন্তিফাদায় (গণঅভ্যুত্থান) পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এখন থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই হবে তাদের প্রধান সামরিক কৌশল। তাছাড়া, ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে স্থানান্তরে 'ভয়াবহ পরিণতি' ডেকে আনবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সৌদি আরব, তুরস্ক, জর্ডানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারাও।  

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকায় সোমবার অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, জেরুজালেম আমাদের। একে রক্ষায় ফিলিস্তিনিদের তৃতীয় ইন্তিফাদা বা গণঅভ্যুত্থানে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণার জন্য আমরা বিশ্ববাসীর সমর্থন চাইছি।

তিন বলেন, বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র ও হোয়াইট হাউজকে সারা বিশ্ব থেকে একঘরে করে ফেলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে লেবাননসহ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ জানান হাসান নাসরুল্লাহ।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে।   তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তখন তাদের সমর্থন দেয়নি। পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে প্রথম ইন্তিফাদার (এর অর্থ গণ-অভ্যুত্থান) সূচনা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। ১৯৯৩ সালে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে। ওই শান্তি চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনও চায় পূর্ব জেরুজালেম তাদের রাজধানী হবে।

এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্পের ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যকে আগুনের মধ্যে ঠেলে দেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, হে ট্রাম্প, আপনি কী করতে চান? এটা কী ধরনের আচরণ। রাজনৈতিক নেতা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান, তারা কোনো বিষয়কে অচল করেন না।   তাছাড়া, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিছিলের ডাক দিয়েছেন।  তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’, ‘সাহসী ও সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের কাছে পবিত্র এই শহরের স্থাপনায় কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর