১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ২০:১০

জেরুজালেম ফিলিস্তিনির বেদখল হয়ে যাওয়া রাজধানী : এরদোয়ান

অনলাইন ডেস্ক

জেরুজালেম ফিলিস্তিনির বেদখল হয়ে যাওয়া রাজধানী : এরদোয়ান

জেরুজালেমকে 'ইসরায়েলের রাজধানী'র স্বীকৃতি দিয়ে পুরনো ঘা খুঁচিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শহরটি কার, তা নিয়ে ফুঁসছে গোটা দুনিয়া। বুধবার ইস্তাম্বুলে ওআইসির জরুরি সম্মেলনে

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসপে তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন- 'জেরুজালেম ফিলিস্তিনির বেদখল হয়ে যাওয়া রাজধানী, ইসরায়েলের নয়।'

জেরুজালেম কার, দশকের পর দশক ধরে সে প্রশ্নে উত্তাল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির সম্পর্ক। প্রাচীন শহরটি একই সঙ্গে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের পবিত্রভূমি হিসেবে পরিচিত। 

গত ৬ ডিসেম্বর হঠাৎই ট্রাম্প ঘোষণা করেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিচ্ছে আমেরিকা। সেই অনুযায়ী শিগগিরই তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরানো হবে মার্কিন দূতাবাস। শুধু ইসরায়েলই এই ঘোষণাকে 'সাহসী সিদ্ধান্ত' বলে প্রশংসা করে। 

এই ঘোষণার তীব্র নিন্দা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, আমেরিকা পশ্চিম এশিয়াকে ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে যে তারা কেউ মানেন না, সে কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধানদের বক্তব্য, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি নিজেরাই জেরুজালেম-বিতর্ক মিটিয়ে নিক। কোনও তৃতীয় দেশের নাক গলানোর কী আছে!

যদিও সে কথায় ক্ষোভ মেটেনি। ক্ষোভের আঁচ পড়েছে ইস্তাম্বুলের ওআইসি সম্মেলনে। ওই সম্মেলনে আজ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। জেরুজালেম প্রসঙ্গে মুসলিম দুনিয়াকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন ফিলিস্তিনির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। 

তিনি বলেন, এখন থেকে পশ্চিম এশিয়ার শান্তি প্রক্রিয়ায় আমেরিকার ভূমিকাকে আমরা আর মানি না। বরং পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে জাতিসংঘকে এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের আর 'ক্ষমতা' নেই।

আব্বাস আরও বলেন, ফিলিস্তিনি শান্তিপূর্ণভাবে জেরুজালেম-বিতর্ক মেটাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা যা করল, তারপর আর তাকে 'নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী' হিসেবে মেনে নেওয়া যাবে না। জাতিসংঘই বরং হস্তক্ষেপ করুক। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না সৌদি বাদশাহ সালমান।-আনন্দবাজার।

বিডি প্রতিদিন/১৪ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর