১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ২২:১৪

সুস্থ মানুষকে মৃত্যুর নোটিশ!

অনলাইন ডেস্ক

সুস্থ মানুষকে মৃত্যুর নোটিশ!

রীতিমত চমকে ওঠার মতো ঘটনা। সুস্থ মানুষকে সরাসরি মৃত্যুর নোটিশ ধরিয়ে দিল হাসপাতাল। বৃহদন্ত্রে অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে ভারতের পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা দেবজিত ঘোষকে শুনতে হল তিনি এইডস আক্রান্ত। আর তারপর থেকেই কার্যত অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। যদিও, পরে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রিপোর্টে সমস্যার সমাধান হয়।

পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা দেবজিত্‍ ঘোষ চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন এলাকার সাউথ সাব-আরবান ক্লিনিকে। বৃহদন্ত্রে অস্ত্রোপচার করার আগে তাদের পক্ষ থেকে কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা হয় তার। কিন্তু, অপারেশনের ঘণ্টাখানেক আগে রোগীকে জানানো হয় তার রক্তে এইচআইভি পজিটিভের নমুনা মিলেছে। 

এইচআইভি-ওয়ান ও এইচআইভি-টু দুটোই পজেটিভ মিলেছে তার রক্তে। চিকিৎসকের মুখ থেকে এইডসের কথা শুনে কার্যত অর্ধমৃত অবস্থা হয় দেবজিত্‍ বাবুর। চরম অবসাদে তলিয়ে যান তিনি। তার সঙ্গে ছিল বেহালার ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের দুব্যর্বহার।

সেই অমানবিক ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে, বাধ্য হয়েই হাসপাতাল ছাড়েন দেবজিত্‍ ঘোষ। শুরু হয় মনের সঙ্গে নিজের যুদ্ধ। পরিবারের থেকে নিজেকে ক্রমশই বিচ্ছিন্ন করে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন 'অসুস্থ' মানুষটি। 

পরিবারের দাবি, তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ারও চেষ্টা করতে থাকেন। সে সময় দেবজিত্‍বাবুর সহকর্মীরা পরামর্শ দেন, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আরও একবার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখার জন্য। সেইমতো ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেন তিনি।

আর তারপরই বদলে গেল তার গোটা পৃথিবীটাই। পরীক্ষায় জানা যায়, এইডস আক্রান্ত নন দেবজিত্‍বাবু। দুটি রিপোর্টই নেগেটিভ। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃতপ্রায় অবস্থা থেকে নতুন করে বেঁচে ওঠেন দেবজিত‍বাবু।

এদিকে, বিপাকে পড়ে রীতিমতো সাফাই দিতে শুরু করেন অভিযুক্ত নার্সিংহোমের চিকিৎসক। তিনি বলেন, সমস্যা মনে হয়েছিল বলেই আরও একবার তাকে পরীক্ষা করার কথা বলা হয়। যদিও, একথা বলতে গিয়ে কোনও অপরাধবোধ দেখা যায়নি চিকিৎকের চোখে। গোটা ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের স্বাস্থ্য কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবজিত ঘোষ।-জি নিউজ

বিডি প্রতিদিন/১৭ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর