১৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৭:৪৭

কিমকে মোকাবেলায় হাইপারসনিক যুদ্ধ বিমান যুক্তরাষ্ট্রের!

অনলাইন ডেস্ক

কিমকে মোকাবেলায় হাইপারসনিক যুদ্ধ বিমান যুক্তরাষ্ট্রের!

সংগৃহীত ছবি

শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করতে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বিমান উন্মোচন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিমানটি তৈরি করেছে মার্কিন বিমান নির্মাণকারী সংস্থা বোয়িং। এর নাম দেওয়া হয়েছে 'সন অফ ব্ল্যাকবার্ড'। এটি একটি হাইপারসনিক যুদ্ধ বিমান। 

ফক্স নিউজ সূত্র জানিয়েছে, এটি হচ্ছে শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি দ্রুতগামী একটি ‘স্পাই প্লেন’ বা নজরদারি বিমান। গতিবেগ হবে ঘন্টায় প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার। বিমানটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে এস আর-৭২। 

অপরদিকে এটিই হবে বিশ্বের সব থেকে দ্রুতগামী বিমান। বর্তমানে এই রেকর্ড রয়েছে বোয়িংয়েরই বিমান ব্ল্যাকবার্ড এস আর-৭১-এর দখলে। ১৯৭৬ সালে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বগে উড়ে রেকর্ড তৈরি করে এস আর-৭১। সোভিয়েত আমলের ওই বিমানের বিকল্প হিসেবে ‘সন অফ ব্ল্যাকবার্ড এস আর-৭২ তৈরি করছে বোয়িং। ২০২০ সালের মধ্যেই মার্কিন বাহিনীর হাতে চলে আসবে এই অত্যাধুনিক বিমান।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শত্রু পক্ষের বায়ুসীমায় প্রবেশ করে গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে সন অফ ব্ল্যাকবার্ড বেশ দক্ষ। বর্তমানে সবথেকে বেশি গতিসম্পন্ন যুদ্ধবিমানের গতি হচ্ছে ঘন্টায় ২,৮০০ কিলোমিটার। ফলে অত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন হওয়ায় যুদ্ধবিমানগুলি এর নাগাল পাবে না। একইভাবে ধেয়ে আসা মিসাইলগুলিকেও পিছনে ফেলে দেবে বিমানটি। এতে থাকবে অত্যন্ত শক্তিশালী ক্যামেরা। শত্রুঘাঁটির গোপন ছবি ধরা পড়বে সেখানে। এছাড়াও পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম হবে বিমানটি। ফলে শত্রুর শিবিরে আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে দাঁড়াব ‘সন অফ ব্ল্যাকবার্ড’ বা এস আর-৭২।

বিশ্ব রাজনীতির দাবার ছকে এক সময়ের পরম বন্ধুই আজ শত্রু। তাই মার্কিন রাডারে রয়েছে চিনা সামরিক বাহিনীও। উল্কাবেগে আধুনিকীকরণ ও ক্ষমতা প্রসারে মেতেছে লালফৌজ। পিছিয়ে নেই রাশিয়াও। প্রেসিডেন্ট পুতিনের নেতৃত্বে সোভিয়েত আমলের গৌরব ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর মস্কো। রয়েছে কিমের হুমকিও। ফলে সংঘাত বাড়ছে মার্কিন স্বার্থের সঙ্গে। তাই প্রযুক্তি ও সামরিক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে আরও আধুনিক অস্ত্র তৈরি করায় মন দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

বিডিপ্রতিদিন/ ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর