১৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ২১:৩৬

দিল্লির ২০ বিধায়কের পদ বাতিলের সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

দিল্লির ২০ বিধায়কের পদ বাতিলের সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের

বিধায়ক হয়েও লাভজনক পদে (অফিস অব প্রফিট) থাকার কারণে ভারতের দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি (আপ)-এর ২০ জন বিধায়কের পদ বাতিল করার জন্য দেশটির রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি যদি সেই সুপারিশে অনুমোদন দেন তবে ওই ২০ জন বিধায়ক তাদের পদ হারাবেন। তখন ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আপের সদস্য ৬৭ থেকে কমে দাঁড়াবে ৪৭ এ।
যদিও তাতে দিল্লিতে সরকারের হয়তো পতন হবে না কারণ বিশ বিধায়কের পদ হারানোর পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে। অন্যদিকে পদ হারানো ওই ২০ বিধায়কের জায়গায় পুনরায় নির্বাচন হবে। আর দিল্লিতে আপ’এর যা অবস্থা তাতে নতুন করে নির্বাচন হলে ওই বিশজন বিধায়কেরাই জিতে আসা অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বেশ খানিকটা অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
২০১৫ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লি ক্ষমতায় আসে আপ সরকার। কিন্তু যে সমস্ত বিধায়কদের মন্ত্রী করা যায়নি, তাদের সংসদীয় সচিব হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের কাজ বিভিন্ন মন্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়া। কিন্তু সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০১৫ সালেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীব প্রশান্ত প্যাটেল। তাার দাবি ছিল এই পদ অসাংবিধানিক। ওই আবেদনের সূত্র ধরেই ২০১৬ সালের জুনে নির্বাচন কমিশনে একটি আবেদন দাখিল করে কংগ্রেস। তাদেরও দাবি ওই সংসদীয় সচিবের পদে থাকা বিশ জন বিধায়কের পদ বাতিল করা হোক। কারণ পরিষদীয় সচিবের অফিস লাভজনক পদের মধ্যে পড়ে। আদালতও এই নিয়ে নির্বাচন কমিশিনের মতামত জানতে চেয়েছিল।
তবে কেজরিওয়াল এবং দলের তরফে বারবার দাবি করা হয় সংসদীয় সচিব হিসাবে তাদের কোন ভাতা দেওয়া হয় না। বিরোধীদের যুক্তি এই পদ বিধায়কদের ভাতা পেতে সহায়তা করে।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি। তাদের দাবি এরপর কেজরিওয়ালের আর মুখ্যমন্ত্রী থাকার অধিকার নেই।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর