২১ জানুয়ারি, ২০১৮ ২০:৫০

এক ঝাঁক মন্ত্রীসহ দিল্লির ২০ বিধায়কের পদ বাতিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি

আইনি পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা আপ-এর

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

এক ঝাঁক মন্ত্রীসহ দিল্লির ২০ বিধায়কের পদ বাতিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি

আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল

বিধায়ক হয়েও লাভজনক পদে (অফিস অব প্রফিট) থাকার কারণে ভারতের দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি (আপ)-এর ২০ জন বিধায়কের পদ বাতিলের সুপারিশে সম্মতি জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ওই বিধায়কদের পদ বাতিলের জন্য কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেছিল দেশটির নির্বাচন কমিশন। রবিবার সেই সুপারিশে সম্মতি জানান রাষ্ট্রপতি। 

রাষ্ট্রপতির বক্তব্য উদ্ধৃত করে রবিবার কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ‘নির্বাচন কমিশনের মতামতের বিষয়টি বিবেচনা করে, আমি ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ক্ষমতাবলে দিল্লি বিধানসভার বিশ বিধায়ককে অযোগ্য বলে ঘোষণা করলাম’।

বিধায়কদের পদ বাতিলের সুপারিশে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আপের সদস্য ৬৬ থেকে কমে দাঁড়াল ৪৬। যে ২০ জন বিধায়ক তাদের পদ হারালেন তার মধ্যে রয়েছেন দিল্লির আইনমন্ত্রী কৈলাশ গেহলট, অর্থমন্ত্রী শিবচরণ গোয়েল, নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী নিতিন ত্যাগী, পরিবহনমন্ত্রী সঞ্জীব ঝা, পর্যটনমন্ত্রী অলকা লাম্বা, রাজস্ব আদায় মন্ত্রী শরদ কুমারসহ এক ঝাঁক মন্ত্রী। যদিও এই ঘটনায় এক্ষুণি দিল্লির আপ সরকারের পতন হচ্ছে না, কারণ ২০ বিধায়কের পদ হারানোর পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকছে।

রাষ্ট্রপতির এই অনুমোদনের ফলে দিল্লিতে ওই ২০ বিধায়কের আসন শূন্য হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এই ২০টি বিধানসভা আসনে আবার ভোট হবে।
 
এদিকে, ২০ বিধায়ককে অযোগ্য বলে ঘোষণা দেওয়ার ঘটনাকে ‘অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে আপ’এর পক্ষ থেকে। দলের সিনিয়র নেতা গোপাল রাই এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের এই নোটিফিকেশন বাতিল করতে দল সমস্ত আইনি পদক্ষেপের সহায়তা নেবে। 

আপের ওই ২০ বিধায়কই একদিকে যেমন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত তেমনি তারা প্রত্যেকেই সংসদীয় সচিব পদেও কর্মরত। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালই তাঁদের ওই সংসদীয় সচিব পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। 

কিন্তু সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০১৫ সালেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীবী প্রশান্ত প্যাটেল। তাঁর দাবি ছিল এই পদ অসাংবিধানিক। ওই আবেদনের সূত্র ধরেই ২০১৬ সালের জুনে নির্বাচন কমিশনে একটি আবেদন দাখিল করে কংগ্রেস। তাদেরও দাবি ওই সংসদীয় সচিবের পদে থাকা ২০ জন বিধায়কের পদ বাতিল করা হোক। কারণ পরিষদীয় সচিবের অফিস লাভজনক পদের মধ্যে পড়ে। আদালতও এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের মতামত জানতে চেয়েছিল। তবে কেজরিওয়াল এবং দলের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয় সংসদীয় সচিব হিসাবে তাদের কোন ভাতা দেওয়া হয় না। 

বিডি-প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর