ভারতের আসামে শিশুকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তবে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজিত জনতা থানা ভেঙে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল ধর্ষণের শিকার ওই শিশু। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় চা বাগানের কাছে একটি ঝোপের মধ্যে শিশুটির গলা কাটা নগ্ন দেহ পাওয়া যায়। খবর আনন্দ বাজারের।
এ ঘটনায় গত রবিবার টেঙাপানি গ্রাম থেকে সঞ্জয় সুবুর (৩০) ও জগদীশ লোহার (২৫) নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দোষ স্বীকার করে জানায়, ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি চিৎকার করছিল, তাই তার মাথা কেটে দেয়া হয়েছিল।স্থানীয় অধিবাসীদের দাবি ছিল, জঘন্য অপরাধে অভিযুক্তদের জনতার হাতে তুলে দিতে হবে। কিন্তু পুলিশ তাদের ফাঁড়ি থেকে তেজু থানায় নিয়ে আসে। ভোরের দিকে সশস্ত্র অধিবাসীরা থানায় আক্রমণ চালায়। দরজা ভেঙে সুবুর ও লোহারকে ছিনিয়ে নেয় তারা। নগ্ন করে শহর ঘুরানো হয়। একসময় শহরের প্রাণকেন্দ্রে এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাদের। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
এর আগেও ২০১৫ সালে ডিমাপুর জেল ভেঙে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবককে বের করে এনে উত্তেজিত জনতা একই কায়দায় নগ্ন করে শহর ঘোরায়। পরে ক্লক টাওয়ারে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম