১৯ মার্চ, ২০১৮ ১৫:৪০

মুসলিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষে ওআইসির কর্মকর্তাদের বৈঠক

মোহাম্মদ আল-আমীন, সৌদি আরব

মুসলিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষে ওআইসির কর্মকর্তাদের বৈঠক

মুসলিম দেশগুলির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেছেন ওআইসির সদস্য দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।গতকাল রবিবার থেকে সৌদি আরবের জেদ্দায় তিনদিনের এই বৈঠক শুরু হয়েছে।

এই বৈঠকের সুপারিশসমূহ পরবর্তীতে বাংলাদেশে আগামী ৫-৬ মে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম অধিবেশনে বিবেচনার জন্য নেয়া হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক ও কনস্যুলার সচিব কামরুল আহসান ও মহাপরিচালক গাউসুল আজম সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই বৈঠকে আরও যোগ দিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ও দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. এমডি নজরুল ইসলাম।

পররাষ্ট্র সচিব তাঁর বক্তৃতায় মুসলিম বিশ্বের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য ইসলামিক মূল্যবোধের ওপর জোর দেন। তিনি আশা করেন, ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের জন্য ইসলামী মূল্যবোধ বিষয়ের থিম অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই প্রাসঙ্গিক। 

বৈঠকে বর্তমান মুসলিম বিশ্বের ফিলিস্তিন সমস্যা, মুসলিম দেশগুলির সংঘর্ষ, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই, আঞ্চলিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণ, মানবিক বিষয়, মধ্যস্থতা ও ইসলামোফোবিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়। অমুসলিম দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সমস্যা, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়। 

এর আগে গত ১৩-১৫ মার্চ ওআইসির ইসলামিক কমিশন ফর ইকনমিক, কালচারাল এন্ড সোসাল অ্যাফেয়ার্স (আইসিইসিএস) -এর ৪১ তম সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক ও কনস্যুলার সচিব কামরুল আহসান। মহাপরিচালক গাউসুল আজম সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। মুসলিম বিশ্বের অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত সকল বিষয় এই বৈঠকে আলোচিত হয়।  

বৈঠকে ওআইসির সদস্যগণ গাজীপুরে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উদার প্রশংসা করেন এবং ওআইসির ছাত্রদের জন্য ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি(আইইউটি) একটি উৎকৃষ্ট মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।


বিডি-প্রতিদিন/১৯ মার্চ, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর