যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যার ফলে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দেয়া কিংবা ফলাফলের ওপর কোন ধরনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকবে না।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টজেন নিয়েলসেন বুধবার মার্কিন কংগ্রেসকে এ তথ্য জানান।
সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে ক্রিস্টজেন নিয়েলসেন বলেন, নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে ভবিষ্যতে আর যাতে কোন প্রশ্নের উদ্রেক না ঘটে সে ব্যাপারেও প্রশাসন সজাগ রয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি সুসংহত করা হচ্ছে এবং প্রশাসনে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়গুলো যাতে অন্যেরা চুরি করতে না পারে কিংবা জালিয়াতির আশ্রয় না নিতে পারে-সে দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ আমি অত্যন্ত আস্থার সাথে বলতে পারি যে তথ্য আদান-প্রদানের সময়ে কারা হুমকিস্বরূপ, তা এখন বলা যেতে পারে। রাশিয়ান হ্যাকাররা গত নির্বাচনে কীভাবে হস্তক্ষেপ করেছিল, সেটিও এখন আর অজানা নেই। ইলিনয় স্টেটের ভোটারের তথ্য চুরির পর একই প্রক্রিয়ায় হ্যাকাররা আরো ২০ স্টেটের ভোটার-তথ্য চুরির অপচেষ্টা করেছে।ফেডারেল প্রশাসন সবসময় দাবি করে আসছে যে, রাশিয়ান হ্যাকাররা ভোটের ওপর কিংবা নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তনে সক্ষম হয়নি। তবে নীলসনসহ প্রশাসনের আরো কয়েকজন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, সারা আমেরিকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই রাশিয়ান হ্যাকাররা টার্গেট করেছে।
বিডি প্রতিদিন/২২ মার্চ, ২০১৮/ফারজানা
