সময়ের সঙ্গে আজীবন লড়েছেন। যে রোগের কাছে মানুষ আত্মসমর্পণ করে প্রতিনিয়ত, সেই রোগকেও হার মানিয়েছিলেন। মানুষকে দিয়েছিলেন কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ। হুইলচেয়ার বন্দি জীবনেও মহাকাশে ছিল তার অবাধ বিচরণ। মহাজাগতিক রহস্য ভেদ করেই জাগতিক জগতে অমর স্টিফেন হকিং। ৭৬ বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’-এর স্রষ্টা। বিখ্যাত বিজ্ঞানীকে সম্মান জানিয়ে নতুন কৃষ্ণগহ্বর অর্থাৎ ব্ল্যাক হোলের আবিষ্কারকে তার প্রতি উৎসর্গ করলেন রাশিয়ার গবেষকরা।
গত ১৪ মার্চ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্টিফেন হকিং। আর ১৬ মার্চ এই কৃষ্ণগহ্বর প্রত্যক্ষ করেন রাশিয়ার মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির সদস্যরা। অফিউকাস নক্ষত্রপুঞ্জে গামা রে-র বিস্ফোরণ হয়। যাতে এক নক্ষত্রের পতন হয়। এই ঘটনার ফলেই ওই কৃষ্ণগহ্বরের সৃষ্টি হয়। মহাকাশে এমন ঘটনা নতুন নয়। তবে সচরাচর টেলিস্কোপে ধরা পড়ে না। ঘটনাক্রমে অফিউকাসের ঘটনাটি মাস্টার-আইএসি রোবোটিক টেলিস্কোপে ধরা পড়ে। আর গবেষকদের নজরে কৃষ্ণগহ্বরটি আসে। নতুন ব্ল্যাক হোলের নাম রাখা হয় GRB180316A। আর তাকে উৎসর্গ করা হয় সদ্য প্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংকে।
বিডি প্রতিদিন/২৩ মার্চ ২০১৮/এনায়েত করিম