২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ১৪:০৭

ভারতের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অপসারণের প্রস্তাব খারিজ

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ভারতের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অপসারণের প্রস্তাব খারিজ

দীপক মিশ্র

ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্ট (অপসারণের) প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন দেশটির উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। দুর্নীতির অভিযোগ এবং পদ ও ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছেন-এই অভিযোগ তুলেই দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রস্তাব আনে কংগ্রেসসহ সাত দলের রাজ্যসভার সাংসদরা। কিন্তু সেই অভিযোগ পর্যাপ্ত নয়-এই ভিত্তিতেই সোমবার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব খারিজ করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অপসারনের প্রস্তাব নিয়ে রবিবারই আলোচনায় বসেন নাইডু। দেশটির বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল কে.কে.বেনুগোপাল, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কে.পরাসরণ, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি বি. সুদর্শন রেড্ডি, সাবেক লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ কাশ্যপ, সাবেক আইন সচিব পি.কে.মালহোত্রা, সাবেক সংসদীয় সচিব সঞ্জয় সিংসহ একাধিক আইনি পরামর্শদাতার সঙ্গেও আলোচনা করেন উপ রাষ্ট্রপতি। 
স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম দেশের কোন প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের জন্য ‘ইমপিচমেন্ট মোশন’ আনার উদ্যোগ নেওয়া হল। 

নাইডু তার আদেশে জানান, ‘প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা প্রতিটি অভিযোগ আমি ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে খতিয়ে দেখেছি এবং তার ভিত্তিতেই আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে এই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা ‘ইমপিচমেন্ট মোশন’এর অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই’। 

এই ধরনের অভিযোগের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার একটা প্রবণতা বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।

এদিন তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘নোটিশে যে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি মনে করি তার কোনটাই সমর্থনযুক্ত বা গ্রহণযোগ্য নয়। ইমপিচমেন্ট মোশনের মাধ্যমে এই ধরনের অভিযোগ এনে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে’।

উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র’এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যাবহারের অভিযোগ তুলে রাজ্যসভার বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে ৭১ জন সাংসদের স্বাক্ষর করা অপসারণের প্রস্তাব আনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সাতটি (সিপিআইএম, সিপিআই, এনসিপি, এসপি, বিএসপি ও আইইউএমএল) রাজনৈতিক দল। গত সপ্তাহেই উপ রাষ্ট্রপতির হাতে সাংসদদের স্বাক্ষরিত সেই ইমপিচমেন্ট মোশনটি তুলে দেওয়া হয়। যদিও প্রধান বিচারপতিকে তার পদ থেকে সরানোর উদ্যোগে সামিল হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, আপ।

বিডি-প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর