২২ জুন, ২০১৮ ২২:১৭

কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৬

কলকাতা প্রতিনিধি:

কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৬

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামি স্টেট জম্মু এন্ড কাশ্মীর (আইএসজেকে)-এর প্রধানও রয়েছে। এছাড়া বন্দুকযুদ্ধে এক পুলিশ কর্মী ও সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুই সেনা সদস্য।

শুক্রবার সকাল থেকেই উপত্যকায় জঙ্গি দমন অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এরপরই এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায় এদিন সকালের দিকে দক্ষিণ কাশ্মীরের শ্রীগুফওয়ারার খিরাম গ্রামে শুরু হয় অভিযান। জঙ্গিদের চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে সেনা ও পুলিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরাও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে একদল বিক্ষোভকারী। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকেও একদিকে জঙ্গি দমন অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে হয়।  দুই পক্ষের মধ্যে গোলাবর্ষণ চলাকালীন এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে ইসলামি স্টেট জম্মু এন্ড কাশ্মীর (আইএসজেকে)-এর প্রধান দাউদ সফি ওরফে বুরহান রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রাজ্য পুলিশ।

কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এসপি বেদ এই সংঘর্ষের কথা জানিয়ে বলেন, ‘শ্রীগুফওয়ারা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে চার জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে’। 

জঙ্গি নিহতের ঘটনার পরই অশান্তি এড়াতে শ্রীনগর, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। 

উল্লেখ্য,রমজান মাস উপলক্ষ্যে টানা এক মাস যুদ্ধবিরতি থাকার পর গত রবিবারই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যুদ্ধ বিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কাশ্মীরের জোট সরকারের শরিক দল পিডিপি যুদ্ধবিরতি কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে বিজেপি। ফলে দীর্ঘ সাড়ে তিনমাসের পিডিপি-বিজেপি সরকারের পতন ঘটে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় সেনা অভিযান বন্ধ থাকার ফলে উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে, আইএস’এর প্রভাবও বেড়েছে। জোট সরকারের পতনের পরই রাজ্যটিতে রাজ্যপাল শাসন জারি হয়। এর পর থেকেই কাশ্মীরে নতুন করে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছিল। 

 

বিডি প্রতিদিন/২২ জুন ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর