১৫ আগস্ট, ২০১৮ ১৯:৪৩

ভিক্ষাবৃত্তি অপরাধ নয়, শখ করে কেউ ভিক্ষা করে না: দিল্লি হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক

ভিক্ষাবৃত্তি অপরাধ নয়, শখ করে কেউ ভিক্ষা করে না: দিল্লি হাইকোর্ট

ভিক্ষাবৃত্তি আর অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছেন ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল ও বিচারপতি হরি শঙ্করের বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে, ভিক্ষা করলে ৩ বছর ও সর্বাধিক ১০ বছর কারাবাসের শাস্তি হতে পারে। এই আইনেই পরিবর্তন ঘটিয়ে দিল্লি শহরে ভিক্ষাবৃত্তিকে আইনি বৈধতা দিয়েছে হাইকোর্ট।

ডয়চে ভেলের খবর, রায়ে বলা হয়, শখ করে কেউ রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে বেড়ায় না। সহায়-সম্বলহীন অতি গরিবরা ভিক্ষা করতে বাধ্য হয় পেটের দায়ে। আসল কারণ দারিদ্র্য। তাই ভিক্ষাবৃত্তিকে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দেওয়া অন্যায়। কেন তাঁরা ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়, তার আসল কারণ দূর না করে সবচেয়ে গরিব মানুষগুলোকে হাজতে আটকে রাখলে বা হয়রানি করলে, সেটা হবে তাঁদের মৌলিক মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার লংঘন করা। যদি ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূল করতে হয়, তাহলে তা কৃত্রিমভাবে করা যায় না। করতে গেলে সেটা হবে সমতা ও জীবনধারণ অধিকারের সাংবিধানিক গ্যারান্টির খেলাপ। কেন তাঁরা রুজি-রোজগার, শিক্ষা বা সামাজিক নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত, সেটা দেখতে হবে। তার দায়িত্ব বর্তায় সরকারর উপর। জেলে বা হোমে আটকে রাখাটা সমাধান নয়। একই সঙ্গে যাদের আটক রাখা হয়েছে অবিলম্বে তাঁদের মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

নিউজ ১৮.কমের খবর, ভারতে ভিক্ষুকের মোট সংখ্যা ৪.১৩ লাখ । এর মধ্যে ৩.৭২ লাখের পেশাই ভিক্ষাবৃত্তি। মোট ভিক্ষুকদের মধ্যে ৪১,৪০০ জন ভিক্ষা ছাড়াও অন্য পেশার সঙ্গেও যুক্ত। বাকি ৩.৭২ লাখ মানুষের পূর্ণ সময়ের কাজই হল ভিক্ষে করা।

আবার, ভারতে মোট ভিক্ষুক সংখ্যার অন্তত ৩২ শতাংশ সাক্ষর। পূর্ণ সময়ের ভিক্ষুকদের মধ্যে ৭৯ শতাংশ নিরক্ষর হলেও সাক্ষর ২১ শতাংশ। ভিক্ষুক বলে অশিক্ষিত ভাববেন না। ভারতের ২১ শতাংশ ভিক্ষুক সাক্ষর। তার মধ্যে শুধু নাম লিখতে পারা মানুষই নয়, রয়েছেন বহু উচ্চশিক্ষিত মানুষও। সাক্ষর ভিক্ষুকদের মোট সংখ্যার ০.৪ শতাংশ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী, ৪.০ শতাংশ স্নাতক, ১৩ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক পাশ, বাকি ৬৮ শতাংশ মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরোলেও স্কুল অবধি পড়াশুনা চালিয়ে গেছেন।

বিডি-প্রতিদিন/১৫ আগস্ট, ২১০৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর