তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তুর্কি অর্থনীতির ওপর হামলা মানেই তুরস্কের জাতীয় পতাকায় হামলা। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে এক বার্তায় তিনি সোমবার এ কথা বলেছেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, তুর্কি অর্থনীতির ওপর হামলার সঙ্গে তুর্কি পতাকায় হামলার কোনো পার্থক্য নেই। এর মাধ্যমে তারা তুরস্ক ও তুর্কি জনগণকে নতিস্বীকারে বাধ্য করতে চায়। কিন্তু তুরস্ক কখনোই নতিস্বীকার করবে না।
ডলারের বিপরীতে তুর্কি মুদ্রার পতনের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি আরও বলেছেন, যারা ভাবছে তুর্কি মুদ্রামানের অবমূল্যায়নের কারণে আঙ্কারা মাথানত করতে বাধ্য হবে তারা খুব শিগগিরই নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। তবে আজকের বক্তব্যে তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেন নি।তবে এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কাছে তার দেশ আত্মসমর্পণ করবে না। তিনি অভিযোগ করেন, আমেরিকা তুরস্কের বিরুদ্ধে অথনৈতিক ক্যু’ করার ষড়যন্ত্র করছে।
সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে তুর্কি সরকার মার্কিন পাদ্রি অ্যান্ড্রু ব্রানসনকে আটক করার পর ন্যাটো মিত্র তুরস্ক ও আমেরিকার মধ্যে নজিরবিহীন টানাপড়েন সৃষ্টি হয় এবং আগস্ট মাসের শুরুর দিকে এর প্রভাব পড়ে তুর্কি অর্থনীতি ওপর। এরইমধ্যে ডলারের বিপরীতে তুর্কি মুদ্রা লিরার মান শতকরা ৩০ ভাগ কমে গেছে।
ব্রানসনের বিরুদ্ধে তুরস্কের নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়াকার্স পার্টি বা পিকেকে গেরিলা ও গুলেন মুভমেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমেরিকা ব্রানসনের মুক্তি দাবি করে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/২১ আগস্ট ২০১৮/আরাফাত