পানি সরতেই ভেসে উঠছে লাশ। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের ত্রিচুর আর চেঙ্গানুরে বন্যার পানিতে আটকে পড়া মরদেহগুলো উদ্ধার হচ্ছে এখন। এরা ভাবতেই পারেননি, বন্যার পানি ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত উঠবে। আগস্টের ৮ তারিখ থেকে পর্যন্ত বন্যায় কেরলায় মৃত্যু হয়েছে ৩'শতাধিক মানুষের।
চেঙ্গানুরের পাঁচটি গ্রামে কম করেও হাজার জন আটকে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রিচুরে বৃষ্টি হয়নি। বন্যার পনিবন্ধ কেরলার কোচি বিমানবন্দরে অবশেষে বিমান অবতরণ করেছে।
নৌবাহিনীর গরুড় বিমানঘাঁটিতে অ্যালায়েন্স এয়ার এটিপি ছোট যাত্রীবাহী বিমানটি বেঙ্গালুরু থেকে সকালে নেমেছে। এখান থেকেই মাদুরাই, কোয়েম্বাত্তুরের উড়ানও চালু করা হবে দ্রুতই।কোচির অসামরিক মূল বিমানবন্দরটি ২৬ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সেখানে এখনও পানি নামেনি। এর্নাকুলাম জেলায় রেল চলাচল শুরু হয়েছে। এর্নাকুলাম, কোট্টায়াম, ত্রিচুর, পালঘাট, কালিকট, কান্নানোর ও তিরুঅনন্তপুরমের মধ্যে বাস চলাচলও শুরু হয়েছে। বেঙ্গালুরু থেকে ৩২টি সরকারি বাস চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। গোটা কেরলজুড়ে এখন ত্রাণ ও ওষুধ পৌঁছোনোর কাজ চলছে ভিত্তিতে।
গত তিনদিনে বৃষ্টির পরিমাণও কমেছে। ইতিমধ্যে কেরলে নানা জায়গা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। এখন চাহিদা চরমে পানীয় জলের ও ওষুধের। কেরলে কেন্দ্র ৩৭০০টি মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়েছে।
নৌবাহিনীর মাইসোর জাহাজ প্রচুর পরিমাণ ওষুধ, খাবার দুধ, বিস্কুট থেকে শুরু ফিনাইল, ব্লিচিং পাউডার নিয়ে পৌঁছেছে। আরেকটি জাহাজও ত্রাণ নিয়ে সোমবার সকালে পৌঁছেছে।
বিডি প্রতিদিন/২১ আগস্ট ২০১৮/আরাফাত