শিরোনাম
২১ অক্টোবর, ২০১৮ ১২:১২

দুর্ঘটনার দায় নিচ্ছে না কেউ, ক্ষোভে ফুঁসছে অমৃতসর

অনলাইন ডেস্ক

দুর্ঘটনার দায় নিচ্ছে না কেউ, ক্ষোভে ফুঁসছে অমৃতসর

সংগৃহীত ছবি

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে দশেরার অনুষ্ঠানে রাবণের কুশপুত্তলিকায় আগুন দেওয়া প্রত্যক্ষ করতে ৩০০ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। মাত্র ১০-১৫ সেকেন্ডের মাথায় উৎসবস্থল পরিণত হয় ছিন্ন-ভিন্ন দেহের স্তুপে। স্বজন-সন্তান হারানোর আহাজারিতে আশাপাশ কেঁপে উঠে। ঘাতক ট্রেনের নিচে পড়ে কমপক্ষে ৬১ জন প্রাণ হারায়, আহত হন ৭২ জন।

ভয়ঙ্কর সেই ঘটনার চিহ্ন এখনো হারায়নি। এখনও রক্ত লেগে আছে এক নম্বর লাইনের ইস্পাতে। দেহাংশ ও রক্ত লেগে আছে পাথরের খাঁজে। কিন্তু এই ঘটনার দায় নিচ্ছে না কেউই। 

সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ৬১ বলা হলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মারা গেছেন ১০০ জনের বেশি। মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও এই ঘটনায় তাঁর পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলছেন অনেকে। সেই ক্ষোভ সামাল দিতে গোটা এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করলেও অব্যবস্থার কোনো দায় নিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। 

দেশটির রেল বিভাগ নিজেদের মতো তদন্ত শুরু করেছে। তবে তা রেল নিরাপত্তা কমিশনের তদন্ত নয়। ডেমু চালকের কোনও দোষ দেখছে না তারা। রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহার বক্তব্য, ‘‘রেললাইনের ধারে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করাই উচিত নয়।’’ রেলের পক্ষ থেকে একটি এফআইআরও করা হয়েছে ভিড়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রেলের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। 

এদিকে দশানন দহনের আয়োজক কংগ্রেস নেতা মিঠ্ঠু ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। এ সব দেখে স্থানীয়দের ক্ষোভ, ‘‘দায় এড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে যেন!’’ মূলত পাঁচটি প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। এগুলো হল- রেললাইন ঘেঁষা ওই জমিতে রাবণ পোড়ানোর অনুমতি কে দিয়েছিল? প্রশ্ন দুই, উদ্যোক্তাদের দায় কতটা? প্রশ্ন তিন, রেল কি জানত না ভিড়ের বিষয়ে? প্রশ্ন চার, কিন্তু জোড়া ফটক লেভেল ক্রসিং-র দায়িত্বে থাকা গেটম্যান কী করছিলেন? প্রশ্ন পাঁচ, কতটা দায়ী ভিআইপি অতিথি? 

এর মধ্যে ক্ষোভের আঁচ বাড়িয়েছে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে অনুষ্ঠানের অতিথি নভজ্যোৎ কৌরের গলায় প্রচুর মালা। আয়োজকদের কেউ তাঁকে বলছেন, ‘‘দেখুন ম্যাডাম আপনার জন্য ৫ হাজারের বেশি লোক লাইনের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। ৫০০ ট্রেন চলে গেলেও ওরা সরবে না।’’ কিন্তু একটু পরেই দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা ট্রেন যে তাঁদের সরার সময় দেবে না, সেটা কেন কেউ ভাবলেন না? স্বজন-পরিজনহারাদের ক্ষোভ সেটাই।

সূত্র: আনন্দবাজার


বিডি প্রতিদিন/২১ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর