চীনে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় উভচর বিমানের সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। 'এজি ৬০০' নামের এই বিমানটি জল ও আকাশে উড়তে পারে। জল ও স্থল থেকেও এটি 'টেক অফ' করতেও সক্ষম।
শনিবার এটির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হল চীনের হুবেই প্রদেশের জিংমেন এলাকায়। এটি তৈরি করেছে চীনেরই সংস্থা অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অব চায়না।
জানা গেছে, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা বেজে ৫১ মিনিটে পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি জলাশয় থেকে বিমানটি উড়ে। এরপর আকাশপথে সেটি প্রায় ১৫ মিনিট চক্কর কাটে। তারপর নিচে নেমে আসে। চার সদস্যের একটি দল উড়োজাহাজটিতে ছিল। ১৪৫ কিলোমিটার গতি সম্পন্ন উড়োজাহাজটি গতমাসেই জলে নামে। সেই পরীক্ষাতেও সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয় সেটি।বিশেষজ্ঞরা জানান, উড়োজাহাজে রয়েছে চারটি টার্বপ্রোপ ইঞ্জিন। আকাশে একটানা ১২ ঘণ্টা উড়তে পারে এটি। প্লেনের দৈর্ঘ্য রাখা হয়েছে ৩৯.৬ মিটার। এর ডানার দৈর্ঘ্য ৩৮.৮ মিটার। সর্বোচ্চ ৫৩.৫ টন ওজন বহনে সক্ষম এজজি৬০০। এটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় উদ্ধার কার্যে ব্যবহার করা যেতে পারে উড়োজাহাজটি। বিশেষ করে বন্যা হলে, দাবানল লাগলে বা প্রাকৃতিক ঝড়ের সময় এটি কাজে আসবে। এই বিমানের সামরিক গুরুত্বও রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনের কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জগুলোতে নজরদারি চালাতেও এই বিমান কাজে লাগবে বলে মনে করছেন তারা। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিতর্কিত দ্বীপগুলোর নজরদারি চালাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ, দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের আধিপত্যকে মজবুত করতে আগেই ওই অঞ্চলে ওয়াইজে-১২বি অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইল এবং এইচকিউ-৮বি লঙ্গ রেঞ্জ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল বসায় চীন।
দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত স্পার্টলি দ্বীপে প্রথম মিসাইল সিস্টেমটি বসানো হয়। এই স্পার্টলি দ্বীপকে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি কর থাকে চীন।
চীন জানায়, নিরাপত্তার কারণেই নিজেদের জমিতে সবকিছু করার অধিকার তাদের রয়েছে। তবে ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের পক্ষ থেকেও এই দ্বীপকে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/২১ অক্টোবর ২০১৮/আরাফাত