১২ নভেম্বর, ২০১৮ ১০:১৩

কঠোর নিরাপত্তায় ছত্তিশগড়ে বিধানসভার নির্বাচন শুরু

দীপক দেবনাথ, কলকাতা:

কঠোর নিরাপত্তায় ছত্তিশগড়ে বিধানসভার নির্বাচন শুরু

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন শুরু হয়েছে। রাজ্যের ৯০ টি আসনের মধ্যে সোমবার প্রথম দফায় আটটি জেলার ১৮ টি আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে, এর সবগুলিই মাওবাদী অধ্যুষিত জেলার অন্তর্গত। 

সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। নতুন ভোটারদের পাশাপাশি শতবর্ষ পেরোনো বৃদ্ধাকেও ভোটের লাইনে দেখা গেছে। এখনও পর্যন্ত কোন অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও কয়েকটি বুথে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সমস্যার খবর পাওয়া গেছে। 

সোমবার সকালেই ট্যুইট করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছত্তিশগড়ের মানুষদের উৎসাহের সাথে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ছত্তিশগড়ে এটা প্রথম দফার নির্বাচন। আমি সকল ভোটারদের অনুরোধ করবো তারা যেন উৎসাহের সাথে গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে যোগ দেন।’ 

এই দফায় প্রায় ত্রিশ লাখেরও বেশি ভোটার ১৯০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধরণ করবে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী রমন সিং সহ আরও দুই মন্ত্রী। 

এদিকে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। গত ১৫ দিনে প্রায় ছয়টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। নিহত হয়েছে ১৩ জন নাগরিক, যার মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা দুরদর্শনের এক চিত্র সাংবাদিকও। স্বাভাবিক ভাবেই মাওবাদী নাশকতা ঠেকাতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই ১৮ টি আসনে ভোটের নিরাপত্তায় এক লাখ নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। 

আকাশপথে নজরদারি রাখতে বিমানবাহনীর হেলিকপ্টারের ব্যবহার হচ্ছে, চলছে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারিও। ভোট কর্মীদের নিরাপদে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে নিয়ে আসা এবং ভোট শেষে আবার নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। সব মিলিয়ে ভোটের ময়দান নাকি যুদ্ধক্ষেত্র-বোঝা মুশকিল। 

ভোটারদের মন কাড়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ দেশটির দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। 
এর আগে তিনবার রাজ্যটির শাসনবার দখল করে এসেছে বিজেপি। এবার তাদের চতুর্থবার সরকারের গড়ার পালা। 

অন্যদিকে দীর্ঘ দেড় দশক বাদে ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও। পাশাপাশি মায়াবতীর দল বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি)-এর সাথে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দল জনতা কংগ্রেস ছত্তিশগড় (জেসিসি)। 

দ্বিতীয় দফায় ৭২ টি আসনে ভোট নেওয়া হবে আগামী ২০ নভেম্বর। ফলাফল আগামী ১১ ডিসেম্বর। 

 

বিডি প্রতিদিন/১২ নভেম্বর ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর