ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক। নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর এই দেশ দুটি। পাশাপাশি এক অপরকে চাপে রাখতে চলছে নানা কৌশল। তারই জের ধরে এবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, পাপুয়া নিউগিনিতে অস্ট্রেলিয়ার নির্মিতব্য নৌঘাঁটিতে তারাও যোগ দেবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, চীনের প্রভাব বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতেই যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাপুয়া নিউগিনির মানুস দ্বীপে তৈরি হবে লোম্ব্রাম নৌঘাঁটিটি।
এ ব্যাপারে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, মোট তিনটি দেশ ওই নৌঘাঁটি ব্যবহার করবে। পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে অনুষ্ঠিত অ্যাপেক সম্মেলনের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় পেন্স বলেছেন, ‘লোম্ব্রাম নৌঘাঁটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে একযোগে কাজ করবে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপগুলোর সার্বভৌমত্ব এবং সমুদ্রে চলাচলের অধিকারকে রক্ষা করতে আমরা ওই দুই দেশের সাথে কাজ করতে চাই।’
মাইক পেন্স আরও বলেন, যেসব দেশ তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে দাঁড়াতে চায়।অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, খুব সম্ভবত তারা লোম্ব্রাম নৌঘাঁটিতে স্থায়ীভাবে জাহাজ মোতায়েন করবেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া দুই দেশই ফাইভ আই নামে পরিচিত গোয়েন্দা নজরদারি জোটের সদস্য। সেই জোটে আরও আছে যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড ও কানাডা।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ