পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে চলছে জিহাদি তৎপরতা। এই জঙ্গিবাদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে দেশটির শিক্ষা খাতে। জিহাদি এই তৎপরতায় এরই মধ্যে দেশটিতে শত শত স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া বহু সংখ্যক ছাত্র ও শিক্ষক হামলার ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
গোলযোগপূর্ণ উত্তরাঞ্চলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে ইসলামী চরমপন্থীদের হামলা ও হুমকি চলে আসছে। এই কারণে তিনশ’র বেশি স্কুল বন্ধ রয়েছে। খবর আরব নিউজের।
মালি সীমান্তবর্তী শহর নেনেবোউরোতে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক কাসোউম ওউয়েদ্রাওগো বলেন, ‘জিহাদিরা ধীরে ধীরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে।’
তিনি বলেন, সেখানে তিনি অন্ন সংস্থানের চিন্তায় আছেন।
এই শিক্ষক আরো বলেন, ‘তারা ‘ফ্রেঞ্চ’ স্কুল চায় না। ‘আরবি’ স্কুল চায়।
তিনি কিভাবে ‘পশ্চিমা’ শিক্ষার ওপর ক্ষুব্ধ ইসলামী চরমপন্থীরা শিক্ষকদের হুমকি দিয়েছে তা বর্ণনা করেন।
ওউয়েদ্রাওগো বলেন, ‘তারা যেন আমাকে সহজে খুঁজে না পায়, সেজন্য আমি গ্রামবাসীদের মধ্যে মিশে থাকতাম।’
তিনি জানান, স্কুলে থাকা শিক্ষকদের জন্য বিপজ্জনক। বুরকিনা ফাসো বিস্তীর্ণ সহিল অঞ্চলের একটি অংশ। ২০১১ সালে লিবিয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ার পর থেকে এটি এখন সহিংস চরমপন্থী ও আইন বহির্ভূতদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজারের মধ্যবর্তী এলাকায় গত ছয় মাসে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে এক আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে বুরকিনা ফাসোতে ইসলামী চরমপন্থীদের হামলায় ২২৯ জন নিহত হয়েছে। এ সময় রাজধানী ওউয়াগাদোউগোউয়ে তিনটি বড় ধরনের হামলা চালানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম